প্রক্টরের সামনেই চবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীকে মারধর ছাত্রলীগ কর্মীর

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) প্রক্টরের সামনেই আন্দোলনরত এক শিক্ষার্থীকে মারধর করেছে মুজাহিদ চৌধুরী নামে এক ছাত্রলীগ কর্মী।

বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দুইটার দিকে প্রক্টর অফিসে পরীক্ষা স্থগিতের বিষয়ে প্রক্টরিয়াল বডির সাথে আন্দোলনকারীদের আলোচনা চলাকালে এই ঘটনা ঘটে। এ সময় প্রক্টর ছাড়াও ঘটনাস্থলে সহকারী প্রক্টরবৃন্দ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সম্পাদক উপস্থিত ছিলেন।

মারধরের শিকার শিক্ষার্থী নাম শাহ মোহাম্মদ শিহাব। সে ইংরেজি বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। অন্যদিকে মারধরকারী মুজাহিদ চৌধুরী সংস্কৃত বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। সে শাখা ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক গ্রুপ বিজয়ের কর্মী। তার বাবা চাকসুর ডেপুটি রেজিস্ট্রার জাকির হোসেন ছিলেন জামায়াতের থানা আমির।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী শাহ মোহাম্মদ শিহাব চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, আমরা প্রক্টর অফিসে আলোচনা করছিলাম। এ সময় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রক্টর অফিসে প্রবেশ করে। তাদের সাথে অনেকগুলো নেতাকর্মীও আসে। তখন আমার একটা কল আসায় আমি মোবাইল বের করেছিলাম। এমন সময় পেছন থেকে আমাকে ঘুষি মারা হয়।

শিহাব আরও বলেন, প্রক্টরের সামনেই এই ঘটনা ঘটে। তখন প্রক্টরকে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি বলে জানাই। পরে তিনি পুলিশি নিরাপত্তা দিয়ে আমাদেরকে ক্যাম্পাস থেকে বের করেন। পাশাপাশি তিনি ব্যবস্থা নিবেন বলে জানিয়েছেন।

তবে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে ছাত্রলীগকর্মী মুজাহিদ চৌধুরী চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘এ ধরণের কোন ঘটনা আমি ঘটাইনি। আমি ওই ছেলেকে চিনিই না। এখানে আমার নাম কেন আসলো বুঝতেছি না।’

এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘সেখানে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধি, আন্দোলনকারীসহ অনেকেই ছিল। অনেক লোকজন থাকায় হয়ত ধাক্কাধাক্কি হতে পারে। তবে কার সাথে কি হয়ছে তা আমি জানি না।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূইয়া চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘এখানে মারধরের কোন ঘটনাই ঘটেনি। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে তিন চারজনকে আমরা আসতে বলছিলাম। তাদের অনেক ছাত্র চলে আসে। এসময় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকও আসে। তাদের সাথেও অনেকজন ছিল। এসময় আমরা বলি করোনার মধ্যে এতজন থাকা ঠিক হবে না। সবাইকে বের হয়ে যেতে বলি। বের হওয়ার সময় হয়ত ধাক্কাধাক্কি হতে পারে৷ তবে মারধরের কোন ঘটনা ঘটেনি।’

এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!