প্রকাশিত সংবাদ প্রসঙ্গে যুবলীগ নেতা ফরিদ মাহমুদের বক্তব্য

চট্টগ্রাম প্রতিদিনে প্রকাশিত ‘বউয়ের নামে লিজ নিয়ে রেলের জায়গা দখলের চেষ্টায় যুবলীগ নেতা’ শীর্ষক সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন চট্টগ্রাম নগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ফরিদ মাহমুদ।

এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। মহলবিশেষের প্ররোচণায় এবং আমার রাজনৈতিক ক্লিন ইমেজকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে সেখানে আমার ছবি, নাম ও পদবি ব্যবহার করে আমার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করা হয়েছে।

ফরিদ মাহমুদ বলেন, ‘উল্লেখিত জায়গা দখল করা দূরে থাক, যাবতীয় কর প্রদানসাপেক্ষে আমার স্ত্রীর নামে ৫ পাঁচ বছর মেয়াদী লাইসেন্স বা নামজারি করা থাকলেও গত ১৮ মাসে ভূমিটিতে কোনো বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ড করা হয়নি। রেলওয়ের ভূমির একজন ইজারারহীতা হিসেবে ভুমি ব্যবহারের বিষয়ে প্রত্যেক লাইসেন্সি শর্তসাপেক্ষে কিছু উন্নয়ন কর্মকান্ড, শাসন ও সংরক্ষণ করবার অধিকার রাখে। কিন্তু যেখানে এখনও ভূমিটি ব্যবহারই করা হয়নি— সেখানে মাটি কাটা,বৃক্ষরোপণ করার বিষয়গুলো অপ্রাসঙ্গিক।’

বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘সরেজমিনে যাচাই-বাছাই না করে তথ্য-উপাত্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া এরকম সংবাদ পরিবেশন করলে বস্তুনিষ্ট সাংবাদিকতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যায়। যার ফলে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ায়। চট্টগ্রাম প্রতিদিনের কাছ থেকে এরকম অযাচিত প্রতিবেদন আমরা আশা করি না।’

প্রতিবেদকের বক্তব্য
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে রেলওয়ের বিভাগীয় প্রকৌশলী ও কর্ম সঞ্চালক (আইডাব্লিও) কামরুল ইসলাম এবং রেলওয়ে ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা মাহবুব উল করিমের দেওয়া বক্তব্য প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রাম নগর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক ফরিদ মাহমুদের বক্তব্যও সেখানে ছিল। তাছাড়া প্রকাশিত সংবাদে পাহাড়ের মাটি কাটার বিষয়ে কিছু উল্লেখ করা হয়নি। পার্শ্ববর্তী খালি জায়গা দখল করে সেখানে গাছ রোপণের বিষয়ে তথ্য ছিল। যা স্বীকারও করেছেন রেলওয়ের কর্মসঞ্চালক (আইডাব্লিও)।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!