চট্টগ্রাম প্রতিদিনে ‘বিধবা বৃদ্ধার জায়গা দখল করে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা স্থাপনা তুলেছেন সাতকানিয়ায়’ শিরোনামে গত ১৩ জুলাই প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা উপ কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আকতার হোছাইন মিন্টু।
প্রকাশিত সংবাদকে ‘ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে উল্লেখ করে প্রতিবাদপত্রে তিনি বলেন, ‘সাতকানিয়ার মির্জাখিল বাংলাবাজারে আলোচ্য জায়গাটি আমার পিতা মরহুম আহমদ হোসাইন সহ আমির হোসেন, আবুল কাশেম ও মিজানুর রহমান ১৯৮৮ সালের ৪ জানুয়ারি সাতকানিয়া সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের রেজিস্ট্রিকৃত ৫১ নম্বর দলিলমূলে কিনে ভোগদখলে স্থিত থাকেন। পরবর্তীতে আমার পিতার মৃত্যুর পর আমরা তিন ভাই ও তিন বোন ওই জমি অদ্যাবধি ভোগ দখলে স্থিত আছি। ২০১৪ সালের ৫ নভেম্বর আমাদের প্রাপ্ত ১ গন্ডা জায়গায় দোকান নির্মাণ করি। কিন্তু ২০১৪ সালে ১০ নভেম্বর সাত্তার চৌধুরী ও রাজ্জাক চৌধুরী ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে আমার দোকানের বেশিরভাগ অংশ ভেঙে ফেলেন। এ ঘটনায় আমি ৭-৮ লাখ টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হই। ফলে আইনি প্রতিকারের জন্য আমার মা মমতাজ বেগম চট্টগ্রাম জজ আদালতে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।’
প্রতিবাদপত্রে উল্লেখ করা হয়, দীর্ঘ ১২ বছর ধরে রাজ্জাক চৌধুরী, সাত্তার চৌধুরী, আমেনা বেগম ও তাদের ওয়ারিশদের দ্বারা আমরা নানাভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হই। প্রাণভয়ে শঙ্কিত হই। অথচ সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে, আমি ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে আওয়ামী লীগ উপ-কমিটির কমিটির সদস্য হওয়ার পরে প্রভাব বিস্তার করি— এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
প্রতিবাদপত্রে আকতার হোছাইন মিন্টু বলেন, ‘আমার রাজনৈতিক অবস্থান ও সামাজিক মর্যাদা ক্ষুন্ন করার উদ্দেশ্যে এরকম ভিত্তিহীন সংবাদের নিন্দা জানাচ্ছি। আমাদের দোকানে সংস্কার কাজ করার সময় সাতকানিয়া জজ আদালত অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দেয়ায় আমরা তখন সংস্কারকাজ বন্ধ করে দেই। আমরা গত ২৭ জুন জেলা জজ আদালতে সংক্ষুব্ধ হয়ে মিছ আপিল করলে বিজ্ঞ জজ আদালত নিম্ন আদালতের ৮৯০/২০২১ নং মামলার তর্কিত ৩ নং আদেশের কার্যক্রম ২৬/৮/২০২১ তারিখ পর্যন্ত স্থগিত করেন। সেই মোতাবেক আমরা সংস্কার কাজ করি। এই এক গন্ডা জায়গা আমাদের পিতা আহমদ হোসাইনের নামে নামজারি করা আছে। সেই হিসেবে জায়গাটির মালিক আমরা ওয়ারিশগণ।’
প্রতিবাদপত্রে তিনি উল্লেখ করেন, ‘দোকান ভেঙে ফেলা ও প্রাণনাশের হুমকি দিলে ২০২১ সালের ৫ জুন আসিফ চৌধুরী, আব্দুস সাত্তার ও আমেনা বেগমের বিরুদ্ধে সাতকানিয়া থানায় জিডি করি। আহমদ হোসাইন, আমির হোসেন, আবুল কাশেম ও মিজানুর রহমান ৪ গন্ডা ও ৪২ ফুট মুখ জায়গার মালিক হয়েছেন। এর মধ্যে আহমদ হোসেনের ১ গন্ডা জায়গা ও চার ভাগের এক ভাগ মুখ বা ১০.৫ ফুট জায়গা নিয়ে দখল স্থিত আছে। অন্যদিকে আমির হোসেন, আবুল কাশেম ও মিজানুর রহমান তাদের তিন গন্ডা জায়গা বিক্রি করেন জসিম ও রাজ্জাক চৌধুরীকে। জায়গা নিয়ে আমেনা বেগমদের বিরোধ হওয়ার কথা শেষোক্ত তিনজনের সঙ্গে। অথচ তারা আমাদেরকে হয়রানি এবং আমাদের সম্পত্তি আত্মসাৎ করার জন্য নানাভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছেন।’