প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

দৈনিক চট্টগ্রাম প্রতিদিনের অনলাইন সংস্করণে ‘চট্টগ্রাম রেলে কর্মচারীর বাসা খালি হওয়ার আগেই বরাদ্দ’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানিয়েছেন রেলওয়ে চট্টগ্রামের পাহাড়তলীর জেলা সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক প্রকৌশলী মো. সাজ্জাদুল ইসলাম। এছাড়া পৃথক প্রতিবাদলিপি পাঠিয়েছেন ওই অফিসের প্রধান সহকারী বেদার উদ্দিন।

৬ সেপ্টেম্বর পাঠানো ওই প্রতিবাদলিপিতে জানানো হয়, প্রকাশিত প্রতিবেদনে জেলা সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক ও প্রধান সহকারী বেদার উদ্দিনের বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে প্রতিবন্ধী কর্মচারীর নামে অন্যজনের নামে বরাদ্দ দেওয়ার অভিযোগ আনা হলেও এর সপক্ষে কোন প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়নি। চাকরির শুরু থেকে তারা সততা ও নৈতিকতার সঙ্গে কাজ করছেন।

এতে উল্লেখ করা হয়, বাসা বরাদ্দের অনুমোদিত নীতিমালা মেনেই বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এতে কোন অনিয়ম ও ঘুষের লেনদেন হয়নি। তবে দপ্তরাদেশ প্রকাশের সময় অনিচ্ছাকৃত ভুল থাকায় কর্তৃপক্ষের নজরে এলে তা সংশোধন করে পুনরায় জারি করা হয়।

এতে বলা হয়, প্রকাশিত সংবাদে হাবিবুল ইসলামকে মানসিক প্রতিবন্ধী উল্লেখ করা হলেও চাকরির যোগদান থেকে অবসরগ্রহণ পর্যন্ত মানসিক প্রতিবন্ধী হিসেবে কোন ধরনের তথ্যপ্রমাণ হাবিবুল ইসলাম বা তার পক্ষে কেউ দপ্তরে দাখিল করেননি।

প্রতিবাদলিপিতে উল্লেখ করা হয়, সাজ্জাদুল ইসলাম ও বেদার উদ্দিন রেলওয়েতে যোগদানের পর থেকে তার সততা ও কর্মনিষ্ঠার বিষয়ে কখনও কোনো অভিযোগ উত্থাপিত হয়নি।

এতে বলা হয়, সরকারি চাকরিতে অবসরোত্তর ছুটির বিধান এবং বাসা বরাদ্দের নীতিমালা নিয়েও ভুল তথ্য রয়েছে প্রকাশিত প্রতিবেদনে। এছাড়া আইন কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে যে বক্তব্য প্রকাশিত হয়েছে, তাও অসত্য।

প্রতিবেদকের বক্তব্য
প্রতিবন্ধী হাবিবুল ইসলাম খানের ভাই সাইফুল ইসলাম খানের করা অভিযোগের ভিত্তিতে রিপোর্টটি করা হয়। এছাড়া জেলা সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রকের দপ্তরে গেলে বাসা বরাদ্দ সংক্রান্ত দপ্তরাদেশে ‘বাসা খালি হওয়া’র কথা উল্লেখ করা হয়। এ বিষয়ে জানতে গেলে পরে সেই দপ্তরাদেশ সংশোধন করে ‘বাসা খালি হওয়া সাপেক্ষে’ উল্লেখ করা হয়। এছাড়া ওই অভিযোগ প্রসঙ্গে সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক (পূর্ব) আনোয়ার হোসেনের বক্তব্যও নেওয়া হয়েছে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!