প্যারেড মাঠেই বসলো স্বস্তির বাজার

চকবাজার শব্দটি শুনলেই মানুষের মনে ভেসে ওঠে সরু পথ, বিস্তর পণ্যের সম্ভার। গাদাগাদি করে কেনাকাটা। চিৎকার, চেচামেচির সঙ্গে ধাক্কাতো আছেই। ঢাকার চকবাজার হোক, কুমিল্লা কিংবা চট্টগ্রামের চকবাজার হোক- তিন শহরের চকবাজারেরই একই চিত্র।

তবে করোনাভাইরাসের সংক্রমন রোধে বদলে গেলো চট্টগ্রাম চকবাজারের সেই চিরচেনা দৃশ্য।

চট্টগ্রাম নগর পুলিশের (সিএমপি) উদ্যোগে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চকবাজার আপদকালীন সময়ের জন্য স্থানান্তরিত হল প্যারেড মাঠে। শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) সকাল থেকে কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ীরা প্যারেড মাঠে শাক, সবজি, মাছ, মাংসসহ যাবতীয় পণ্য নিয়ে বসেন পসরা সাজিয়ে।

এই উদ্যোগের প্রশংসা করে জয়নগরের বাসিন্দা ইকবাল হোসেন বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারনে বাজারে যেতে ভয় পেতাম। প্যারেড মাঠে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে যে আয়োজন তা সত্যিই প্রশংসার দাবীদার। প্রশাসন চাইলে অন্য বাজারগুলোকেও এভাবে খোলা মাঠে নিয়ে যেতে পারে আপাতত।’

চকবাজার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী চট্টগ্রাম বলেন, ‘সিএমপি কমিশনার স্যারের নির্দেশে চট্টগ্রাম কলেজ কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়েই চকবাজারের বিক্রেতাদের প্যারেড মাঠে বসার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ইজারাদার এবং ব্যবসায়ীরাও প্যারেড মাঠে বাজার বসানোর ব্যাপারে কোন আপত্তি করেনি।’

বাজার শুরু হলে সকাল ১১টায় সিএমপির উপকমিশনার (দক্ষিণ) এসএম মেহেদী হাসান, অতিরিক্ত উপকশিনার শাহ মো. আব্দুর রউফ, পঙ্কজ বড়ুয়া, চকবাজার থানার ওসি মো. নিজাম উদ্দিনসহ প্রশাসনে কর্মকর্তারা বাজার পরিদর্শন করেন।

চকবাজার কাঁচাবাজারের ইজারাদার মো. ইদ্রিস আলম বলেন, ‘শুক্রবার সকাল থেকেই ব্যবসায়ীরা তাদের বিভিন্ন পণ্য নিয়ে প্যারেড মাঠে বসেন। আমরা প্রশাসনের যথেষ্ট সহায়তা পেয়েছি। বাজারে প্রবেশের সময় জীবানু নাশক দিয়ে সবার হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।’

এফএম/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!