পোর্টসিটির সমাবর্তনে ২৭ শিক্ষার্থীর হাতে উঠল গোল্ড মেডেল

পোর্টসিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ২৭ শিক্ষার্থীর হাতে উঠল গোল্ড মেডেল। এছাড়া ৫ হাজার ৬৪৯ জন শিক্ষার্থীকে আনুষ্ঠানিকভাবে দেওয়া হয়েছে ডিগ্রি।

পোর্টসিটি

১০টি বিভাগের ১৩টি প্রোগ্রামের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে পাশ করা ৫ হাজার ৬৪৯ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১ হাজার ৫১৭ জন নিবন্ধন করেন ইউনিভার্সিটির দ্বিতীয় সমাবর্তনে। এরমধ্যে ১৪ জন শিক্ষার্থী চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল ও ১৩ জন শিক্ষার্থীকে ফাউন্ডার গোল্ড মেডেল প্রদান করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম নগরীর টাইগারপাসের নেভি কনভেনশন সেন্টারে শনিবার (২৬ নভেম্বর) পোর্টসিটির এ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সমাবর্তন অনুষ্ঠানের সভাপতি শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘আজ সমাবর্তনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা একটি পরিবর্তিত বাংলাদেশে কর্মজীবন শুরু করতে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে যে বৈপ্লবিক পরিবর্তন দেশে হয়েছে, তার সবচেয়ে বড় সুফল ভোগ করতে যাচ্ছেন আপনারা। বঙ্গবন্ধুকন্যার ডিজিটাল বাংলাদেশ আপনাদের নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘শুধু সার্টিফিকেট নির্ভর শিক্ষা নয়, নিজেকে কারিগরি শিক্ষায় দক্ষ করে তুলতে হবে। নাহলে কর্মস্থলে বিশাল চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে। তখন উচ্চশিক্ষা শুধু নামমাত্র থেকে যাবে।’

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এবং পোর্টসিটির প্রতিষ্ঠাতা একেএম এনামুল হক শামীম বলেন, ‘দায়িত্ববোধসম্পন্ন সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর পোর্টসিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। মাত্র এক দশকেই বন্দর নগরীর এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সারাদেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে সাফল্যের সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের সেরা মেধাবী শিক্ষক, ডিজিটাল ক্লাসরুম আর বিশ্বমানের কারিকুলামের মাধ্যমে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জনসম্পদে পরিণত হয়েছে। তোমাদের অর্জিত জ্ঞান আর কর্মদক্ষতা দিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক উন্নত বাংলাদেশ গড়তে তোমরা সামনে থেকে নেতৃত্ব দেবে এটাই আমাদের চাওয়া।’

অনলাইনে যুক্ত হয়ে সমাবর্তন বক্তা ড. আহমেদ কায়কাউস বলেন, ‘চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে কাজ চলছে। আমাদের প্রতিটা তরুণ যাতে শোভন পেশার মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে পারে এজন্য চলছে বিপুল কর্মযজ্ঞ। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা হচ্ছে শিক্ষার যাত্রার সূচনা। জ্ঞানের জন্য, স্বীকৃতির জন্য, প্রজ্ঞার জন্য ক্ষুধার্ত হওয়া আপনার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। ক্ষুধার্ত হতে থাকুন, তৃপ্ত হবেন না। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে উপায় খোঁজা চালিয়ে যান এবং সেখানেই আপনি আরও কিছু অর্জন করতে পারবেন।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নূরল আনোয়ার বলেন, ‘শিক্ষাজীবন হলো কর্মজীবনের প্রস্তুতি ক্ষেত্র। আজকের সমাবর্তন অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলতে চাই, দীর্ঘ সংগ্রামের পর আপনারা যে ডিগ্রি লাভ করেছেন, তা আপনাদের দেশের প্রতি দায়বদ্ধতা আরও বাড়িয়ে দিল। দেশের জন্য, দেশের গণমানুষের জন্য এই দায়বদ্ধতা পূরণে আপনার কখনো পিছপা হবেন না।’

অতিথি হিসেবে সমাবর্তনে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগম, বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান মিসেস তাহমিনা খাতুন এবং সদস্য সাইফুজ্জামান শেখর এমপি।

স্বাগত বক্তব্য দেন পোর্টসিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. নূরল আনোয়ার।

এতে সঞ্চালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক আসমা ইয়াসমিন এবং ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক রাইসুল ইসমাইল আপন।

আলোচনা পর্বের পর ন্যাচারাল সায়েন্স বিভাগের শিক্ষক পুনম মুৎসুদ্দি ও আশরাফুল ইসলাম সুমনের সঞ্চালনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক ফোরামের শিক্ষার্থী এবং ব্যান্ড দল ‘বে অব বেঙ্গল’র পরিবেশনায় অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

আরএ/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!