পোর্টসিটির দ্বিতীয় সমাবর্তনে যোগ দেবেন ১৫১৭ শিক্ষার্থী, গোল্ড মেডেল উঠবে ২৭ জনের গলায়

দ্বিতীয় সমাবর্তনের প্রস্তুতি শেষ করেছে চট্টগ্রামের পোর্টসিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। আগামী ২৬ নভেম্বর নেভি কনভেনশন সেন্টারে এতে যোগ দেবেন ১ হাজার ৫১৭ শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে ২৭ জন শিক্ষার্থীর হাতে উঠবে গোল্ড মেডেল।

বৃহস্পতিবার(২৪ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. নূরুল আনোয়ার।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘এবার দ্বিতীয় সমাবর্তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হওয়া ৫ হাজার ৬৪৯ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন ১ হাজার ৫১৭ জন শিক্ষার্থী। এছাড়া এবারের সমাবর্তনে ১৪ জন শিক্ষার্থীকে চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল ও ১৩ জন শিক্ষার্থীকে ফাউন্ডার গোল্ড মেডেল প্রদান করা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশের অনন্য প্রতিষ্ঠান পোর্টসিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। আন্তর্জাতিক অঙ্গণেও সমন্বিত কাজের স্বাক্ষর হিসেবে ইতোমধ্যে এ বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বের বিভিন্ন স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক করেছে। এরই মধ্যে দুটি আন্তর্জাতিক গবেষণা কনফারেন্সের আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া শিক্ষকদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে দেওয়া হচ্ছে কারিকুলাম বিষয়ক বিভিন্ন প্রশিক্ষণ। শিক্ষার গুণগতমান ও স্বীকৃত মানদণ্ড নিশ্চিতকরণে প্রতিবছর বিভিন্ন বিভাগ প্রোগ্রামভিত্তিক তাদের সেল্ফ অ্যাসেসমেন্ট রিপোর্ট প্রস্তুত করে থাকে। বাংলাদেশ রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাডুকেশন জরিপে অনলাইন পাঠদানে সারাদেশের ইউনিভার্সিটিগুলোর মধ্যে ষষ্ঠ স্থান অর্জন করেছে এই ইউনিভার্সিটি।’

প্রফেসর ড. নূরুল আনোয়ার বলেন, ‘২০১৩ সালের ১৭ মে মাত্র ৬ জন শিক্ষক, ৪ জন কর্মকর্তা, ১ জন কর্মচারী এবং ৬টি প্রোগ্রামে ৬৯ জন শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু পোর্টসিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির। বর্তমানে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে ১৭০ জন শিক্ষক, ৫ হাজার ৩৩৬ জন শিক্ষার্থী ও ১৯০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী। এছাড়া ৪টি অনুষদের অধীনে ১০টি বিভাগের ১৩টি প্রোগ্রাম নিয়ে চলছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক জুয়েল দাশ বলেন, ‘সমাবর্তন শিক্ষার্থীদের জন্য আনন্দের দিন। শিক্ষা জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন এটি। এই অর্জনে শিক্ষার্থীদের পরিবার যেমন গর্ববোধ করেছে, শিক্ষক হিসেবে তাদের এই অর্জনে আমরাও গর্ববোধ করছি। আমরা আমাদের সর্বোচ্চটা দিয়ে শিক্ষাদানের চেষ্টা করি। এই বিশ্ববিদ্যালয় বিজ্ঞাপনের চাকচক্যে নয়, শিক্ষার মানোন্নয়নে বিশ্বাসী।’

তিনি বলেন, ‘কিছু সীমাবদ্ধার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীদের এই সমাবর্তন অনুষ্ঠান উন্মুক্ত করা যাচ্ছে না।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব ড. আহমেদ কায়কাউস।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন পানি সম্পদ উপমন্ত্রী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা একেএম এনামুল হক শামীম।

অনুষ্ঠানে অতিথিদের মধ্যে আরও উপস্থিত থাকবেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগম, বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান তাহমিনা খাতুন।

সহকারী অধ্যাপক জুয়েল দাশের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য অধ্যাপক ড. এম মজিবুর রহমান, এহসানুল হক রিজন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. গণেশ চন্দ্র রায়, সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. ইঞ্জিনিয়ার মফজল আহমদ, রেজিস্ট্রার মো. ওবায়দুর রহমান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. সেলিম হোসেন, গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

আরএ/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!