পেয়ারুর সামনে আরও দুজন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের ভোটে, একজন কৃষক লীগের

চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এটিএম পেয়ারুল ইসলাম ছাড়াও আরও দুজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

তারা হলেন হাটহাজারীর ফরহাদাবাদের এডভোকেট ফয়েজ ও আনোয়ারার নারায়ণ রক্ষিত। এর মধ্যে এডভোকেট ফয়েজ বাংলাদেশ কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য। অন্যদিকে নারায়ণ রক্ষিত বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (বিএনএফ) নেতা। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আনোয়ারা থেকে ওই দলের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন নারায়ণ রক্ষিত।

বৃহষ্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী পদে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিজের প্রার্থিতার বিষয়ে এটিএম পেয়ারুল ইসলাম চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমাকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দিয়েছেন। আমার দলের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতা কর্মীরা আমাকে সমর্থন জানিয়েছেন। আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হলে আমি প্রধানমন্ত্রীর গ্রামকে শহর করার যে ঘোষণা সেটি বাস্তবায়ন করতে কাজ করবো।’

অন্যদিকে ফয়েজুল ইসলাম বলেন, ‘সদ্য যে পরিষদ ছিলো তখন সেখানে কিছু টাউট-বাটপার ভূমিদস্যুরা সেখানে ঘিরে থাকতো। আমি নির্বাচিত হলে প্রথমে তাদের প্রতিরোধ করবো আর দুর্নীতিকে উচ্ছেদ করে ছাড়বো।’

কৃষক লীগের সাবেক এই কেন্দ্রীয় সদস্যকে হঠাৎ করেই সংগঠনের সব স্তরের পদ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তার সঙ্গে এই নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার কোনো সম্পর্ক আছে কিনা চট্টগ্রাম প্রতিদিনের এমন প্রশ্নের জবাবে ফয়েজুল ইসলাম বলেন, ‘সারা দেশে কৃষক লীগকে সংগঠিত করায় আমার একটা ভূমিকা ছিল। সম্প্রতি আমার এলাকার এক রাজাকার কন্যাকে কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদ দেওয়া হয়েছে। আমি তার প্রতিবাদ করেছি। শুধু রাজাকারের কন্যা বলেই নয় তারা সংগঠনেও অ্যাকটিভ ছিল না। তো হঠাৎ তাকে কেন্দ্রীয় পদ দেওয়া হলো কিসের বিনিময়ে?

তিনি বলেন, ‘পরে জেনেছি আমাদের জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তার জন্য কমপক্ষে ১০ বার ফোন করেছে। আমি এর প্রতিবাদ করায় আমাকে সব কিছু থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। যেহেতু আমি পদে বেই সেহেতু নির্বাচন করায় বাধা নাই। আমি তাই নির্বাচন করছি। তবে বাদ দেয়ার সাথে নির্বাচনের কোন সম্পর্ক নাই। আমি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকবো।’

চেয়ারম্যান পদে অন্য প্রার্থী নারায়ণ রক্ষিতের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!