পেকুয়া উপজেলা ছাত্রদলকে রক্ষায় ভারমুক্ত কমিটি দিতে হবে !

পেকুয়া উপজেলা ছাত্রদলকে রক্ষায় ভারমুক্ত কমিটি দিতে হবে ! 1নিজস্ব প্রতিবেদক : পেকুয়া উপজেলা ছাত্রদলকে রক্ষা করতে হলে ভারমক্ত করে অতিশীঘ্রই কমিটি
দিতে হবে। এ দাবীতে পেকুয়া উপজেলা বিএনপি ও কক্সবাজার জেলা ছাত্রদলকে
লিখিত স্মারকলিপি দিয়েছে পেকুয়া উপজেলা ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটির
অধিকাংশ নেতারা।

রবিবার (১অক্টোবর) রাতে উপজেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি ইয়াসিন সিকদারের
নেতৃত্বে সিনিয়র নেতারা পেকুয়া উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি বাহাদুর শাহকে
আনুষ্ঠানিকভাবে এ স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন।

এসময় পেকুয়া উপজেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি ইয়াছিন সিকদার, এম ফরহাদ হোছাইন,
এইচ.এম. ইমন, আসাদ রুবেল, হেলাল উদ্দিন, মফিজ, আমিনুর কবির রানা, নুরুল
ইসলাম, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ন সম্পাদক শওকত হোছাইন বিজয়, নবাব শরীফ,
শোয়াইবুল ইসলাম, মনির উদ্দিন, নুরুল ইসলাম, কামাল সিকদার, সহ সাংগঠনিক
সম্পাদক নেজাম উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। উক্ত স্মারকলিপিতে উপজেলা
ছাত্রদলের ১০৮জন সিনিয়র নেতা সাক্ষর করেন।

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, বর্তমান উপজেলা ছাত্রদলের এম জাহেদ হোসাইনকে
ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করায় আমরা সত্যিই হতবাক। কারণ আমরা দেখেছি আওয়ামী
ঘরনার সুবিধাবাদী এই নেতা একদিনও সক্রিয় রাজনীতি করে নাই। মূলত কিছু
সিনিয়র নেতার বেডরুমে রাজনীতি করে তখন সিনিয়র সহসভাপতি পদটা হাতিয়ে
নিয়েছিল। আর এখন সে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি। ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হওয়ার পরে বিগত
৮-৯দিন যাবৎ আমরা তার কাজ পর্যবেক্ষণ করি। আমরা মনে করেছিলাম দায়িত্ব
পাওয়ার পর সে নিজেকে শুধরাবে। কিন্তু এখন দেখতেছি সে উঠে পড়েছে লেগেছে
ছাত্রদলকে সমূলে ধ্বংস করার জন্য। বিগত আন্দোলন যাবৎ প্রিয় নেতার ৬২দিন
গুমকালীন একদিনও পেকুয়ায় আসে নাই। বরং প্রিয় নেতাকে নিয়ে ‘সালাহ উদ্দিন
এর চিন্তা করে লাভ নাই, মারি পালাইয়ে’ এমন বাজে মন্তব্য প্রকাশ্যে
করেছিল। এখন সে দায়িত্ব নিয়ে যারা মাঠে ময়দানে সক্রিয় রাজনীতি করছে তাদের
বাদ দিয়ে, তার মত আওয়ামীলীগ ঘরনার শহরমুখো সুবিধাবাদী ছেলেদের বিভিন্ন
ইউনিট কমিটিতে আনার চেষ্টা করছে। সবচাইতে বড় কথা তাদের অধিকাংশ ইয়াবা
আসক্ত। এই ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বহাল থাকলে পেকুয়া ছাত্রদল সমূলে ধ্বংস হয়ে
যাবে। তাই আমরা বাধ্য হয়ে ছাত্রদলের সিনিয়র দায়িত্বশীলরা একত্রিত হয়ে
করণীয় ঠিক করলাম। আমরা উপজেলা বিএনপি, জেলা ছাত্রদল ও আমাদের অভিভাবক
জনাব সালাহ উদ্দীন আহমদকে বিষয়টি অবহিত করে, বর্তমান কমিটির কার্যক্রম
বন্ধ করে নতুন কমিটি দেওয়ার আবেদন করব।

আমাদের সবার মূল বক্তব্য, পেকুয়া উপজেলা ছাত্রদলকে রক্ষা করতে হলে
অতিশীঘ্রই ভারমক্ত করে কমিটি দিতে হবে।

এব্যাপারে পেকুয়া উপজেলা ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক আবদুল করিম বলেন, এড.
জাহেদ হোছাইনকে উপজেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ঘোষণার পর থেকে এই
পর্যন্ত অসংখ্য নেতাকর্মী পদত্যাগ পত্র জমা দিতে আমাকে ফোন করেছে। আমি
কৌশলে তাদের এড়িয়ে গিয়ে সিনিয়রন নেতাদের সরণাপন্ন হই। সবার মিলে
সীদ্ধান্ত নিয়ে আমরা স্মারকলিপি প্রদান করি।

সহসভাপতি হেলাল উদ্দীন, আসাদ উদ্দীন, মফিজুল ইসলাম, এম ফরহাদ হোসেন, এইচ
এম ইমন, আমিনুল কবির রানা ও আকবর হোসেন ইয়াসিন সিকদার অভিন্ন সুরে বলেন,
পেকুয়া উপজেলা ছাত্রদলের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাহেদ হোছাইনকে দলের
দুঃসময়ে আমরা মাঠে পাইনি। এমনকি প্রিয় নেতা সালাহ উদ্দীন আহমদ গুমকালীন
৬২দিন তাকে রাজপথে কেউ দেখেনি। কিন্তু এখন উড়ে এসে জুড়ে বসেছেন। এতেই
ক্ষান্ত হয়নি। দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের অবমূল্যায়নসহ বিভিন্ন সংগঠন
বিরোধী কর্মকান্ডে তিনি জড়িত রয়েছেন। তাই পেকুয়া উপজেলা ছাত্রদলকে
বাঁচাতে এখনই বর্তমান এ কমিটি ভেঙ্গে, উপজেলা ছাত্রদলকে ঢেলে সাজানো হোক।

একব্যাপারে কক্সবাজার জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রাশেদুল হক রাসেল এর সাথে
মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে, তিনি একটি জরুরি বৈঠকে আছেন জানিয়ে সংযোগ
বিচ্ছিন্ন করেন।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!