পেকুয়ায় দূবৃর্ত্তদের হামলায় কৃষক আহত

পেকুয়া প্রতিনিধি : পেকুয়ায় দূবৃর্ত্তদের হামলায় দু’কৃষক গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
মঙ্গলবার (৭ফেব্রুয়ারী) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের মৌলভী পাড়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটে । আহতরা হলেন, একই ইউনিয়নের সাবেকগুলদী এলাকার মৃত.হাবিবুর রহমানের ছেলে বাদশাহ ও নুরুল হোসেনের ছেলে আবু ছৈয়দ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সকালে সাবেকগুলদী এলাকার মৃত.সাঁিচ মিয়ার ছেলে শফিউল আলম গংদের মালিকানাধীন ১একর ৬০শতক জমিতে চাষ উৎপাদনের জন্য কাজ করছিলেন বাদশাহ, আবু ছৈয়দ ও রবিউল আলম। তারা জমি প্রস্তুতির কাজ চালানোর সময় মৌলভী পাড়া এলাকার মৃত.মাষ্টার নুরুল ইসলামের ছেলে আতাউল্লাহ আরাফাত, মৃত.সোলতান আহমদের ছেলে বাদশাহসহ ৭/৮জনের একদল সংঘবদ্ধ দুর্বৃত্তরা ওই স্থানে হানা দেয়। এ সময় তারা শফিউল আলম গংদের ওই তিন শ্রমিককে ব্যাপক মারধর করে আহত করে। এদের মধ্যে একজন পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। এ সময় ভীতি ছড়াতে ওই দুর্বৃত্তরা মহড়া দিয়ে এলাকায় আতংক ছড়ায় বলে স্থানীয়রা নিশ্চিত করেছেন। সুত্র জানিয়েছেন শফিউল আলম গং আশি শতক জমি বিগত ২০০৭সালে বারবাকিয়া ওয়ারেচী পরিবারের সাইফুর রহমান ওয়ারেচীর কাছ থেকে খরিদ করে। ওই সময় থেকে জমি শফিউল গংদের ভোগ-দখলে রয়েছে। অপর দিকে একই স্থানে আরো আশি শতক জমি সরকার থেকে বন্দোবস্তি পান সাঁিচ মিয়ার ছেলে প্রতিবন্ধি নুরুল হোছাইন ও কনে মমতাজ বেগম। ২০১১সালে সরকার এ জমি তাদের নামে লীজ দেয়। পরবর্তী ২০১৪সালে ওই জায়গার অনুকুলে দলিল সৃজন করে। যার নং-৩১০ ও ২৪০৪। বর্তমানে গ্রহিতাদের নামে জমাভাগ খতিয়ান সৃজিত হয়। যার নং-৪৭১৮ ও ৫০১০। জানা গেছে চলতি বোরো মৌসুমে জমিতে ফসল উৎপাদনের জন্য বীজতলা তৈরি করে তারা। ২৭ডিসেম্বর রাতে আতাউল্লাহ আরাফাত গং লবন প্রয়োগ করে বীজতলা বিনষ্ট করে দেয়। এনিয়ে নুরুল হোছাইন বাদি হয়ে পেকুয়া থানায় একটি সাধারন ডায়েরী লিপিবদ্ধ করেন। যার নং-১২১৪/১৬। এ ব্যাপারে নুরুল হোছাইন জানায় আমি ও আমার বোন দু’জনই প্রতিবন্ধি। সরকার আমাদের নামে আশি শতক জমি বন্দোবস্তি দেয়। গত কয়েক বছর ধরে ব্যাংক কর্মকর্তা আহসান উল্লাহ’র ইন্ধনে আতাউল্লাহ আরাফাতসহ কয়েকজন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা জমিতে বাধা গ্রস্ত করছে। আগে থেকে চাঁদা দাবি করছে। গতকাল তারা নতুন করে পাশ^বর্তী আমাদের পরিবারের খরিদা জায়গা থেকে শ্রমিকদের মারধর করে তাড়িয়ে দিয়েছে। লম্বা বন্ধুক নিয়ে ভীতি ছড়িয়ে এলাকায় অস্ত্রের মহড়া দিয়েছে। আমাদের কাছ থেকে ৫০হাজার টাকা চাঁদা দাবি করছে। স্বাক্ষী না দিতে প্রত্যক্ষদর্শীদের প্রকাশ্যে হাকাবকা করছে। স্বাক্ষী দিলে স্থানীয়দের মারধর, এলাকা ছাড়া ও ঘরবাড়ি জ¦ালিয়ে দেয়ার হুমকি দিচ্ছে। তবে আহসান উল্লাহ গংদের বক্তব্য নিতে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!