পেকুয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ ইউপি ভবণ ঘেঁষে চেয়ারম্যানের নির্দেশে দোকান নির্মাণ

পেকুয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ ইউপি ভবণ ঘেঁষে চেয়ারম্যানের নির্দেশে দোকান নির্মাণ 1মুকুল কান্তি দাশ,চকরিয়া : কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদের পরিত্যক্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবণ ঘেঁষে ৪টি দোকান নির্মাণ করেছেন পেকুয়া উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি ও পেকুয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাহাদুর শাহ্।
সরকারী এই জায়গায় দোকান নির্মাণ করে মোটা অংকের সালামী আদায়ের মাধ্যমে মাসিক নিদিষ্ট টাকায় তা ভাড়া প্রদান করলেও খবর নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
পেকুয়া বাজারের স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, পেকুয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের পুরাতন ভবণটি সত্তর দশকের শুরুর দিকে পেকুয়া বাজারের সন্নিকটে স্থাপিত হয়। দোতলা ভবনটি ২০০৬ সালে পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন স্থানীয় প্রশাসন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলায় ১১ বছরেও তা সরিয়ে নেওয়া হয়নি।
তাঁরা আরো বলেন, গত ২০১৩ সালের ২৬ জুন রাত আটটার দিকে ওই ভবনের দোতলার ছাদের একাংশ ধ্বসে পড়লে তিনজন আহত হন। ভবনটি যেকোনো মুহূর্তে পুরোপুরি ধ্বসে পড়তে পারে। এতে পাশের ব্যস্ততম বাইম্যাখালী সড়কের পথচারী-যাত্রী, পাশ্ববর্তী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ইউনিয়ন পরিষদের নতুন ভবণে যাতায়াত করা লোকজনের প্রাণহানি ঘটতে পারে। তাই ভবনের নিচে জনসাধারণের অবস্থানের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
মারাত্মক ঝুঁকি থাকার পরেও ওই ভবণ ঘেঁষে একজন ইউপি চেয়ারম্যানের দোকান ঘর নির্মাণ করা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ীরা।
পেকুয়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিনহাজ উদ্দীন বলেন, পরিত্যক্ত ভবনটি ঘেঁষেই দোকান ঘর নির্মাণ চরম দুঃসাহসিকতা। কোন দুর্ঘটনা ঘটলে এর দায়ভার কার ? তাই আমি অতি দ্রুত ওইসব দোকানঘর অপসারণের দাবী জানাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, ভবনটি ধসে পড়লে নিশ্চিত প্রাণহানির ঘটনা ঘটবে। এ কারণে ভবনের আশপাশের ব্যবসায়ীরা সবসময় আতঙ্কে থাকেন।
এব্যাপারে পেকুয়া সদর ইউপি চেয়ারম্যান বাহাদুর শাহ ঝুঁকিপুর্ণ ভবন ঘেঁষে দোকানঘর নির্মাণের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি আমাকে অবহিত করে এসব দোকানঘর নির্মাণ করেছেন। তারা কেউ রাতে সেখানে থাকেন না। কাঁচা দোকানঘর নির্মাণ হয়েছে। এই দোকান আমার ব্যক্তিগত নয় পরিষদের। ওই জমি বেদখল থেকে রক্ষা করতেই দোকান নির্মাণে মৌখিক অনুমতি দিয়েছি।
তবে ঝুঁকিপূর্ণ ভবণটি সরানোর জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে জেলা প্রশাসকের কাছে আমরা অনেকবার চিঠি দিলেও কোনো উদ্যোগ পরিলক্ষিত হয়নি।
পেকুয়ার অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.সাহেদুল ইসলাম জানান, ভবণটি সরানোর জন্য জেলা প্রশাসকের কোনো নির্দেশনা না পাওয়ায় এতদিন সরানোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!