পেকুয়ায় জায়গা নিয়ে বিরোধে দোকান ভাংচুর, নারীকে কুপিয়ে জখম

কক্সবাজারের পেকুয়ায় একটি কুলিং কর্নারে (দোকান) ভাংচুরসহ তাণ্ডব চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় জেসমিন আক্তার (৩৫) নামের এক নারীকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় চৌমুহনী স্টেশন এলাকায় হামলার এ ঘটনা ঘটে।

জেসমিন আক্তার উপজোলা সদর ইউনিয়নের আন্নর আলী মাতবর পাড়া গ্রামের নুর মুহাম্মদের স্ত্রী।

জানা গেছে, এক শতক জায়গার উপর নির্মিত একটি দোকানঘর নিয়ে আন্নর আলী মাতবর পাড়ার নুর মুহাম্মদ গংয়ের সাথে প্রতিবেশী শাহ আলম গংদের বিরোধ চলছিল। নুর মুহাম্মদ ওই জায়গায় দোকানঘর নির্মাণ করে কুলিং কর্নারের ব্যবসা করে আসছিল। দুপুরে ৫/৬ জনের দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে দোকানে হামলা চালায়। এ সময় কিরিচ দিয়ে টিনের নির্মিত ওই দোকানটি কুপিয়ে তছনছ করে।

দোকানের মালিক নুর মুহাম্মদ বলেন, ‘আমি প্রতিদিনের মতো দোকান খুলে ব্যবসা করছি। এ সময় প্রতিপক্ষের শাহ আলম, তার ছেলে বেলাল উদ্দিন, জালাল উদ্দিন, আনোয়ারা, জোনাকী, শরীফসহ ৬/৭জন দুর্বৃত্ত হঠাৎ আমার দোকানে হানা দেয়। এ সময় দোকানঘরের বেড়া কুপিয়ে তছনছ করে। ব্যাপক ভাংচুরসহ তান্ডব চালায়। আমার স্ত্রী বাঁধা দিলে তারা তাকে কুপিয়ে ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে। শাহ আলম গং আমার দোকানঘর দখল করার পাঁয়তারা করছে। জায়গাটি আমার ১৫ বছরের দখলে রয়েছে। আমার নামে দলিল ও খতিয়ান রয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী রাজিবুল হাসান, বখতিয়ার উদ্দিন, মিজবাহ উদ্দিন, পারভীন আক্তার জানায়, ‘শাহ আলম গং গায়ের জোরে দোকানটি জবর দখলের চেষ্টা করে। দোকানে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। এক নারীকে পিটিয়ে জখম করেছে।’

পেকুয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান বলেন, ‘ভিকটিম নারীকে নিয়ে তারা থানায় এসেছিল। আমি হাসপাতালে ভর্তি হতে বলেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!