পেকুয়ায় ছেলের ইটের আঘাতে জখম বৃদ্ধা মা

কক্সবাজারের পেকুয়ায় বৃদ্ধা মাকে ইট দিয়ে পিটিয়ে জখম করেছে অবাধ্য ছেলে। এ সময় তাকে উদ্ধার করতে এগিয়ে আসলে ফুফি ও ফুফির স্বামীকে পিটিয়ে ও কামড়িয়ে জখম করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টায় রাজাখালী ইউনিয়নের বকশিয়াঘোনা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন ওই এলাকার বদর আলমের স্ত্রী বুলু আরা বেগম (৫৫), বোন শফিকা বেগম (৪০) ও ভগ্নিপতি মৃত হাজি আবদু রশিদের ছেলে বাদশা মিয়া (৪৫)। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

আহত বুলু আরা বেগম জানায়, গত মঙ্গলবার মেয়ের ছেলে বাবু ও পুত্র নাতী সাবিদ দুষ্টুমি করছিল। এ সময় তারা দু’জন মারপিট করে। এতে পুত্রবধূ মনিফা আক্তার ক্ষিপ্ত হয়ে সাবিদকে মারধর করে। প্রতিবাদ করলে ছেলে রেজাউল করিম ও পুত্রবধূ মনিফা আমাকে গালিগালাজ করে।

রেজাউল করিমের পিতা বদর আলম জানায়, ছেলে ও পুত্রবধূ অবাধ্য হয়েছে। গালিগালাজের বিষয়টি নিয়ে বোন শফিকা বেগম ও ভগ্নিপতি বাদশাহ মিয়াসহ বৈঠকে বসছিল। ছেলে রেজাউল করিম বিচার দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়। এ সময় রেজাউল করিম ইট দিয়ে আমার স্ত্রী বুলু আরা বেগমকে আঘাত করে। তাকে উদ্ধার করতে এগিয়ে আসলে বোন ও ভগ্নিপতিকেও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে ও কামড়িয়ে জখম করে। লাঠির আঘাতে বোনের চোখে মারাত্মক জখম হয়। শফিকা বেগমের স্বামী বাদশাহ মিয়া ওই স্থানে এসে মারামারি থামানোর চেষ্টা চালায়। এ সময় রেজাউল করিমের স্ত্রী মনিফা আক্তার ফুফী শ্বাশুরকে কামড় দিয়ে জখম করে।

রাজাখালী ইউপি’র সদস্য মো. ইসমাইল বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি। রেজাউল করিম খারাপ প্রকৃতির লোক। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করতে বলেছি।’

পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল আজম বলেন, ‘এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!