পেকুয়ায় চোলাই মদের কারখানা গুড়িয়ে দিলেন ম্যাজিস্ট্রেট

কক্সবাজারের পেকুয়ায় অভিযান চালিয়ে চোলাই মদ তৈরির ১০টি ছোট-বড় কারখানা ও বিপুল পরিমাণের মদ তৈরির সরঞ্জাম ধ্বংস করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় বিক্রির জন্য মজুদ করা ৫৪ লিটার চোলাই মদ জব্দ করা হয়।

বুধবার (৮ জুন) রাত ১১টার দিকে পেকুয়া উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের পাহাড়িয়াখালী গ্রামের রাখাইনপাড়ায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাহুল চন্দ এই অভিযান পরিচালনা করেন।

এ সময় বারবাকিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বদিউল আলম, ইউপি সচিব আবু তৈয়ব, ইউপি সদস্য আনিসুল করিম, রেজাউল করিম ও পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বারবাকিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোহাম্মদ করিম বলেন, ‘রাখাইনপাড়ায় কয়েকজন বাসিন্দা বেশ কিছুদিন ধরে চোলাই মদ তৈরি করে বিক্রি করে আসছিল। এতোদিন তারা পেকুয়া, কুতুবদিয়া ও বাঁশখালী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় তা সরবরাহ করছিল। সম্প্রতি পাহাড়িয়াখালী গ্রামে মাদকাসক্ত ব্যক্তির সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেলে তা সকলের নজরে আসে।’

বারবাকিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বদিউল আলম বলেন, ‘বুধবার রাতে বেশ কয়েকজন যুবক মদ খেয়ে মাতলামি করতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা রাখাইনপাড়া ঘিরে রাখেন। পরে আমরা জনপ্রতিনিধিরা ও পুলিশের সদস্যরা সেখানে গিয়ে মদের কারখানাগুলো আবিষ্কার করি। পরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাহুল চন্দ ঘটনাস্থলে গিয়ে চোলাই মদ তৈরির উপকরণ ও সরঞ্জাম ধ্বংস করেন।’

পেকুয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফরিদ উদ্দিন বলেন, ‘রাখাইনপাড়ায় প্রায় ১০টি ঘর থেকে অন্তত পাঁচ হাজার লিটার চোলাই মদের কাঁচামাল উদ্ধার করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নেতৃত্বে এসব কাঁচামাল, চোলাই মদ উৎপাদনে ব্যবহৃত ৫৪টি ড্রাম, ২১টি বালতি ও ৩২টি পাতিল ধ্বংস করা হয়েছে। একইসঙ্গে বিক্রির উদ্দেশ্যে মজুদ রাখা ৫৪ লিটার চোলাই মদ জব্দ করা হয়।’

পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরহাদ আলী বলেন, ‘চোলাই মদ জব্দের ঘটনায় আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

এ ব্যাপারে পেকুয়া উপজেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাহুল চন্দ বলেন, ‘ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর লোকজন পরিমিতভাবে চোলাই মদ উৎপাদন ও পান করতে পারেন। কিন্তু বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে উৎপাদন করায় চোলাই মদের কারখানা ও কাঁচামাল ধ্বংস করা হয়েছে।’

ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!