পেকুয়ায় চিংড়ি ঘের দখল নিতে প্রতিরাতে গুলিবর্ষণ

পেকুয়ায় চিংড়ি ঘের দখল নিতে প্রতিরাতে গুলিবর্ষণ 1পেকুয়া প্রতিনিধি : পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়নে কাকপাড়া এলাকার সাত দুইন্না ঘোনা দখল নিতে প্রতিরাতেই ফাকা গুলিবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে সন্ত্রাসীরা। এতে আতংকে দিন কাটছে ইউনিয়নের কাকপাড়া, ডলইন্যা পাড়া, শুধ্যাখালী, বেদেরবিল পাড়া, হাডী পাড়া ও উজানটিয়া ইউনিয়নের নতুন ঘোনা এলাকার প্রায় পাঁচ হাজারেরও বেশি মানুষের। এলাকাবাসীদের অভিযোগ বিগত এক সপ্তাহ ধরে এই গুলিবর্ষণ ঘটনা অব্যাহত থাকলেও দৃশ্যত কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেনা স্থানীয় প্রশাসন।

গতকাল সরেজমিন গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে এস.আলম গ্রুফের মালিকাধীন প্রায় ৭০ একর জমি লিজ নিয়ে চিংড়ি ঘের করে আসছিল মগনামা ইউনিয়নের কাকপাড়া এলাকার মৃত জিল্লুর করিম চৌধুরীর পুত্র ও একই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ইউনুছ চৌধুরী। কিন্তু এই চিংড়ি ঘের চলতি মৌসুমে অবৈধভাবে দখলে নিতে তৎপর হয় স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল। তারা মূলত এটি দখলে নিতে অবৈধ অস্ত্রের মাধ্যমে গুলিবর্ষণ করে এলাকায় ভীতি ছড়াচ্ছে।

ইউনুছ চৌধুরী ছোটভাই মো. সরওয়ার কামাল চৌধুরী বলেন, শুধুমাত্র ওই চিংড়ি ঘেরটি দখলে নিতে ইতোমধ্যে পরিকল্পিতভাবে আমার ভাই ইউনুছ চেয়ারম্যানকে অস্ত্র ও ইয়াবা দিয়ে ফাঁসিয়েছে ইউপি চেয়ারম্যান ওয়াসিম। মগনামা ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ ওয়াসিমের নির্দেশে চিহ্নিত সন্ত্রাসী লিটন, সাজিব, কালা মানিক, জয়নাল, আলী আকবর, শাহাবুদ্দীন, আনছার, সাকের উল্লাহ, মোছাদ্দেকের নেতৃত্বে একদল ভাড়াটে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী বিগত ছয়দিন ধরে গুলিবর্ষণ করে চিংড়ি ঘের থেকে আমাদের ৩৫জন শ্রমিককে তাড়িয়ে দিয়ে তা দখল করে নিয়েছে। তারা চিংড়ি ঘেরের নার্সারীতে থাকা ১২-১৪লক্ষ টাকার চিংড়ি পোনা লুটে নিয়েছে। এস.আলম গ্রুপ থেকে তিন বছরের জন্য ওই চিংড়ি ঘের লিজ নিয়েছে আমার ভাই ইউনুছ চৌধুরী ও পেকুয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম। কিন্তু সম্পুর্ণ অবৈধভাবে এই চিংড়ি ঘের দখল করে নিয়েছে স্থানীয় চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ ওয়াসিম।

তিনি আরো বলেন, চেয়ারম্যান ওয়াসিম আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকি অব্যাহত রেখেছে। এ ঘটনায় আমি নিজে বাদী হয়ে পেকুয়া থানায় একটি জিডি দায়ের করেছি। কিন্তু অদৃশ্য কারণে এব্যাপারে দৃশ্যত কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না পেকুয়া থানা পুলিশ। এ ঘটনায় এলাকাবাসী ও আমার পরিবার আতংকে দিনানিপাত করছি। আমরা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ও প্রাণহানীর আশংকা করছি। অতএব এলাকাবাসী ও আমার পরিবারের পক্ষ থেকে এলাকায় পুলিশি নজরদারী ও নিরাপত্তা দাবী করছি। সেইসাথে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃংঙ্খলা বাহিনীর সুদৃষ্টি কামনা করছি।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!