পেকুয়ায় চলাচলের রাস্তা সংস্কারে বাঁধা; এলাকাবাসীর বিক্ষোভ

ইমরান হোসাইন, পেকুয়া : পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের বকশিয়া ঘোনা এলাকায় দীর্ঘ ১শ বছরের পুরোনো চলাচলের রাস্তা সংস্কারে বাঁধা প্রদান করছেন একই ইউনিয়নের ছড়িপাড়া এলাকার মৃত হাবিবুর রহমানের পুত্র মো: হোছেন। এমনকি বাঁধা প্রদানকারী ওই প্রভাবশালী ব্যক্তি স্থানীয় লোকদের মিথ্যা মামলায় হয়রানীর হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।

এনিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা ছফি আলম নামের একব্যক্তি বাদি হয়ে ওই প্রভাবশালী ব্যক্তিকে বিবাদী করে ইউপি কার্যালয়ে অভিযোগ দায়ের করলেও এতে তিনি হাজির থাকেননি। যার কারণে স্থানীয় লোকদের সাথে বাঁধা প্রদানকারীর সংঘর্ষের আশংকা দেখা দিয়েছে।

স্থানীয় এলাকাবাসী মনজুর আলম, ছফি আলম, নওশা মিয়া, শাহাবউদ্দিন, রেজাউল করিমসহ শতাধিক এলাকাবাসী জানান, এ রাস্তাটি দিয়ে ৫০টি পরিবারের যাতায়াত করে থাকেন। পার্শ্ববর্তী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উচ্চ বিদ্যালয়ে শতাধিক শিক্ষার্থী ওই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে থাকে। কবরস্থানের লাশ দাফনের জন্যও রাস্তাটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। রাস্তাটি এতদিন ছোট পরিসরে থাকায় গত কয়েকদিন আগে স্থানীয়রা মাটি দিয়ে সংস্কার কাজ শেষ পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন। এরই মাঝে ছড়িপাড়া এলাকার মো. হোছেন দলবল নিয়ে রাস্তা সংস্কার কাজে বাঁধা প্রদান করেন। এ বিষয়ে স্থানীয় এমইউপি মো ইসমাঈল স্থানীয়দের নিয়ে বৈঠক করে বিষয়টি সমাধানের জন্য চেষ্টা করলেও তিনি মানেননি। এরপর আদালতে গিয়ে মিথ্যাভাবে মেম্বারসহ গ্রামবাসীদের বিবাদী করে একটি মামলা দায়ের করেন। অথচ এ জায়গাটির বিরোধ নিয়ে মো হোছেনসহ আরো কয়েকজন বিবাদী হয়ে ১৯৮৯সালের দিকে আদালতে মামলা করেছিলাম। কয়েক লক্ষাধিক টাকা তিনি গ্রামবাসীদের ক্ষতি করেছিলেন। পরে আদালতের নির্দেশে পরিমাপ করে রাস্তার জায়গা তার দখলে পাওয়া যাওয়ায় তিনি শূত্রুতা শুরু করেন।

স্কুল শিক্ষার্থী রহিমা, মোশারফা, মহিউদ্দিন বলেন, আমরা প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে স্কুলে যাতায়াত করি। গত দু’তিন থেকে এ রাস্তা দিয়ে তাদের চলাচল না করার জন্য বারণ করছেন। যার কারণে আমরা স্কুলে আসা যাওয়ায় ব্যাঘাত ঘটছে। এব্যাপারে আমরা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত মো হোছেন বলেন, আমার জায়গার উপর জোর করে গ্রামবাসীরা রাস্তা তৈরি করেছেন। যার কারণে আমি আদালতে মামলা করেছি।

স্থানীয় এমইউপি মো. ইসমাঈল জানান, শত বছর আগের রাস্তাটি দিয়ে অর্ধশতাধিক পরিবার যাতায়াত করে থাকে। স্থানীয়রা এ রাস্তাটি সংস্কার কাজ করলে মো. হোছেন নামের এক ব্যক্তি বাঁধা প্রদান করেন। এ নিয়ে দু’পক্ষ নিয়ে শালিষী বৈঠক করলেও তিনি মানেননি। উল্টো আদালতে গিয়ে আমাকেসহ আরো কয়েকজনকে বিবাদী করে মামলা করেছেন। অথচ জায়গাটি রাস্তার খতিয়ার ভুক্ত।

রাজাখালী ইউপি চেয়ারম্যান ছৈয়দ নুর জানান, জায়গাটি বকশিয়াঘোনা রাস্তাটির নামে খতিয়ান আছে। দীর্ঘ বছর ধরে অনেক পরিবার এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করে। অভিযোগের ভিত্তিতে মো. হোছনকে কয়েকবার কার্যালয়ে কাপজপত্র নিয়ে হাজির হওয়ার জন্য বলা হলেও তিনি হাজির হননি। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করা হয়েছে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!