কক্সবাজারের পেকুয়ায় ১৮টি মামলার আসামি আনছার (৪৫) ও আবুল কাছিমকে (৪২) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) রাতে উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের সবুজবাজার থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যমতে সুন্দরীপাড়া এলাকার চিংড়ি ঘেরের টং বাসা থেকে সাতটি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৩৮টি কার্তুজ জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তার আনছার বামুলাপাড়া গ্রামের মৃত আহমদ ছফা প্রকাশ বদর আলমের ছেলে ও আবুল কাছিম মৃত বজল আহমদের ছেলে।
এ ব্যাপারে বুধবার (২৩ অক্টোবর) র্যাবের এসআই প্রশান্ত কুমার ভৌমিক বাদি হয়ে দু’জনকে আসামি করে পেকুয়া থানায় একটি মামলা (১১/১৯) দায়ের করেন।
জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে র্যাব-৭ এর একটি দল সবুজবাজার থেকে দু’জনকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাদের দেয়া তথ্যমতে সুন্দরীপাড়ার চিংড়ি ঘেরের বাসা থেকে দেশীয় তৈরি ৭টি অস্ত্র ও ৩৮ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করে। অস্ত্র উদ্ধারের পর তাদের রাতে চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। পরদিন বুধবার সকালে দু’জনকে পেকুয়া থানায় হস্তান্তর করে।
পেকুয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) কামরুল আজম বলেন, ‘র্যার সকালে আনছার ও কাছিম নামের দু’জনকে ৭টি অস্ত্র ৩৮ রাউন্ড কার্তুজসহ থানায় সোপর্দ করে। র্যাব বাদি হয়ে তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে। দু’জনকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
পেকুয়া থানা সূত্রে জানা গেছে, আনছার ও কাছিমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় অস্ত্র, হত্যা, ডাকাতিসহ অন্তত ১৮টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে আনছারের বিরুদ্ধে ১২টি ও কাছিমের বিরুদ্ধে ৬টি। এসব মামলায় তারা জামিনে রয়েছে। একমাস আগে দু’জন জেল থেকে জামিনে মুক্ত হন। তবে অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়টি নিয়ে আনছার ও কাছিমের পরিবারের পক্ষ থেকে ষড়যন্ত্র বলে দাবি করছেন। তাদেরকে প্রতিপক্ষের লোকজন অস্ত্র দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
এর আগেও একই কায়দায় তাদেরকে অস্ত্র দিয়ে ফাঁসিয়েছে প্রতিপক্ষ। ইয়াবা ব্যবসার প্রতিবাদ করায় বার বার তাদের বিরুদ্ধে এসব ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেন তারা।
এএইচ