পেকুয়ায় অবৈধ ১১ করাতকল; গিলে খাচ্ছে বনাঞ্চল

ইমরান হোসাইন, পেকুয়া :

পেকুয়ায় সরকারী অনুমোদন বিহীন অবৈধ ১১ করাতকলে নির্বিচারে চলছে কাঠ চিড়াইয়ের মহোৎসব। বছরের পর বছর ধরে এমন অবৈধ কর্মযজ্ঞ চললেও পরিবেশ অধিদপ্তর বা বন বিভাগের অভিযানের দেখায় মিলে না। ফলে, হুমকির মুখে পড়েছে উপজেলার বনজ সম্পদ আর সবুজায়ন।

1477304634281_resized

পেকুয়া উপজেলা সাত ইউনিয়নের মধ্যে টইটং, বারবাকিয়া ও শিলখালীর ভৌগলিক অবস্থান পাহাড়ি অঞ্চল। পেকুয়া উপজেলা কক্সবাজার জেলার অধিন হলেও পাহাড়ী তিন ইউনিয়নের বিস্তির্ণ বনাঞ্চল চট্টগ্রাম দক্ষিন বন বিভাগের অধিনে। ফলে, দুই জেলার প্রশাসনিক টানা হেচঁড়ার মধ্য দিয়ে সরকারী সংরক্ষিত বনাঞ্চল ও বনজ সম্পদের রক্ষনাবেক্ষন দো’টানা অবস্থায় বিদ্যমান। আর এর সুযোগ নিচ্ছে নানা ধরনের অসাধু লোকজন।

সরেজমিনে পরিদর্শনে দেখা গেছে, উপজেলার সদর ইউনিয়নের মেহেরনামায় চড়াপাড়া নতুন বাজারের প্রধান সড়কের পূর্ব পাশে ২টি, পশ্চিম পাশে ১টি, বারবাকিয়া ইউনিয়নে ২টি, টইটং ইউনিয়নের হাজীর বাজারে ২টি, মৌলভী বাজারে ২টি, টইটং বাজারে ১টি, রাজাখালীর আরব শাহ বাজারে ২টি, পেকুয়া আলহাজ্ব কবির আহমদ চৌধুরী বাজার এলাকায় ৩টিসহ পুরো উপজেলায় ১২টি করাত কল রয়েছে। এসব করাতকলের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর ও বন বিভাগ কর্তৃপক্ষের লিখিত অনুমতির বিধান থাকলেও মাত্র একটি ছাড়া বাকি ১১টি করাতকল চলছে সম্পুর্ন অবৈধভাবে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক করাতকল মালিক বলেন, বন বিভাগ ও থানা পুলিশকে ম্যানেজ করেই চলছে এসব করাতকল। কোন ধরনের সরকারী অনুমতি ছাড়াই পরিচালিত এসব করাতকলে দিনের পর দিন ধরে চলছে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের প্রধান বনজ সম্পদ গাছপালা চিরাই। এসব করাত কলের মালিকদের সাথে অসাধু গাছ ব্যবসায়ী ও বনদস্যু সিন্ডিকেটের রয়েছে গভীর সখ্যতা। তাদের মাধ্যমে করাতকল গুলোতে উপজেলার উপকূলীয় বন বিভাগ ও সংরক্ষিত বনাঞ্চলের গাছপালা কেটে এনে নির্বিচারে চিরাই করা হচ্ছে।1477304683765_resized

স্থানীয় পরিবেশ সচেতন ব্যক্তি ও সুশীল সমাজের লোকজন অভিযোগ করে বলেন, সাতটি ইউনিয়নের ছোট একটি উপজেলায় অনুমোদন বিহীন এক ডজন করাতকলের কারণে চরম হুমকি ও ঝুঁকির মুখে পড়েছে উপজেলার বিস্তির্ণ সংরক্ষিত বনাঞ্চল।

চট্টগ্রাম দক্ষিন বন বিভাগের অধিন বারবাকিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা উত্তম কুমার বলেন, উপজেলার ১২ টি করাতকলের মধ্যে মাত্র একটি সরকারী অনুমতি আছে। অপর অবৈধ ১১ করাতকল বন্ধে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করেছি।

পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মারুফুর রশিদ খাঁন বলেন, সরকারী অনুমোদনহীন করাতকল বন্ধে শীঘ্রই অভিযান পরিচালনা করা হবে।

এ এস / জি এম এম / আর এস পি :::

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!