পেঁয়াজের খুচরা বাজার যে কারণে এখনও আগুন!

প্রতিদিনই আসছে পেঁয়াজের ছোট বড় চালান। কিন্তু পাইকারিতে কিছুটা দাম কমলেও তার প্রভাব নেই খুচরা বাজারে।

জানা গেছে, গত ২ সপ্তাহের তুলনায় দেশের পেঁয়াজের বাজারে সরবরাহ বেড়েছে। গত তিনদিনে চট্টগ্রামভিত্তিক বিএসএম গ্রুপ ৭০০ টন, ঢাকার মেঘনা গ্রুপ এনেছে ৮০০ টন পেঁয়াজ। এই দুই প্রতিষ্ঠানের বাইরে ছোট আমদানিকারকদের পেঁয়াজ নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর জেটিতে ভিড়েছে একাধিক জাহাজ।

পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের অনুরোধে সাড়া দিয়ে দেশের শীর্ষ শিল্প গ্রুপগুলো বিদেশ থেকে সমুদ্রপথে পেঁয়াজ আমদানির উদ্যোগ নেয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৫৫ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি নেয় এস আলম গ্রুপ। তাদের পেঁয়াজ কিছু উড়োজাহাজে এবং কিছু সমুদ্রপথে আসবে। প্রতিদিন কার্গো উড়োজাহাজে ১০০ টন করে পেঁয়াজ ঢাকা বিমানবন্দরে নামছে।

তবে পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ার পরও খুচরা পর্যায়ে তার প্রভাব না পড়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ ক্রেতারা। তারা বলছেন, সরকারের দূর্বল মনিটরিং ব্যবস্থাপনার কারণেই খুচরা পর্যায়ে পেঁয়াজের দাম কমছে না।

এদিকে খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, আগের সংগ্রহকৃত পেঁয়াজ তারা এখনো বিক্রি করছে। যার ফলে আগের দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।

বর্তমানে পেঁয়াজের খুচরা বাজারে মানভেদে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১৬০ থেকে ২০০ টাকায়। তবে চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ পাইকারি বাজারে মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১৬০ টাকায়।

পাইকারি দামের সাথে খুচরা পর্যায়ে পেঁয়াজের দামের এমন তারতম্য রোধে পেঁয়াজের খুচরা বাজারে নিয়মিত মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করার পাশাপাশি খুচরা ব্যবসায়ীদেরও মূল্য তালিকা রাখতে বাধ্য করার জোর দাবি জানান ভোক্তারা।

এ ব্যাপারে খাতুগঞ্জ এলাকার খুচরা ব্যবসায়ী মিজান মাহমুদ বলেন, আমদানিকৃত পেঁয়াজ খুচরা বাজারে পৌঁছে গেলে খুচরা পর্যায়েও পেঁয়াজের দাম কমে যাবে।

এএ/এসবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!