পূর্ব ষোলশহরে ড্রেন পরিষ্কার শুরু, চট্টগ্রাম প্রতিদিনে সংবাদ প্রকাশের জের

চট্টগ্রাম নগরীর ৬ নম্বর পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ডে অলিগলির ড্রেন পরিষ্কারের কাজ শুরু হয়েছে। এর আগে সপ্তাহজুড়ে নোংরা পানি জমে ছিল এলাকার লক্ষ্মী মাঝির বাড়িসহ বিভিন্ন অলিগলিতে।

এ নিয়ে রোববার (১২ ডিসেম্বর) দৈনিক চট্টগ্রাম প্রতিদিনে পূর্ব ষোলশহরের অলিগলিতে জমে থাকা নোংরা পানিতে দুর্ভোগ এলাকাবাসীর শিরোনামে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদন প্রকাশের একদিন পর থেকে শুরু হয়েছে ড্রেন পরিষ্কারের কাজ।

মঙ্গলবার (১১ ডিসেম্বর) বিকাল ৩টা থেকে ড্রেন পরিষ্কারের কাজ শুরু করে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নকর্মীরা।

এলাকাবাসী জানায়, এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত ড্রেনটি পরিষ্কার করা হয়। তবে এখনও পুরোপুরি পরিষ্কার করা সম্ভব হয়নি। আরও দু-একদিন সময় লাগতে পারে।

এলাকার বাসিন্দা মো. ওয়াজিউল্লাহ বলেন, ‘মঙ্গলবার বিকাল ৩টার দিকে কাউন্সিলর তিনজন লোক দিয়েছেন ড্রেনের ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কারের কাজে। তারা এসেই কাজ শুরু করে। সন্ধ্যা পর্যন্ত তারা কাজ করলেও পুরো ড্রেন পরিষ্কার করা সম্ভব হয়নি। আরও এক কিংবা দুদিন লাগতে পারে। ড্রেন পরিষ্কার করার কারণে কিছুটা হয়ত স্বস্তি মিলতে পারে জমে থাকা নোংরা পানি থেকে। এর আগে গত এক সপ্তাহ ধরে চলাচলের রাস্তায় নোংরা পানি জমে ছিল। এ সময় এলাকাবাসীর চলাচলে দুর্ভোগের শেষ ছিল না। স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ ছিল সবচেয়ে বেশি। কারণ চলতি ডিসেম্বর মাসে স্কুল শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলছে।’

এ বিষয়ে ৬ নম্বর পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এম আশরাফুল আলম বলেন, ‘বিষয়টি জেনে ড্রেনের ময়লা-আবর্জনাগুলো তোলার ব্যবস্থা করেছি। তবে ড্রেন পরিষ্কার করা হলেও এলাকাবাসীর পানি থেকে মুক্ত মিলবে না। কারণ যতদিন পর্যন্ত খালে বাঁধ থাকবে ততদিন পানির দুর্ভোগ থাকবে। যদি খালের মুখে জমে থাকা পানিগুলো পাম্পিং করে বের করে দেওয়া যায়, তাহলে দুর্ভোগ কিছুটা হলেও কমবে। কারণ বাসা-বাড়ির পানিগুলো ড্রেনের মাধ্যমে খালে যায়। এখন বাঁধের কারণে পানিগুলো স্বাভাবিকভাবে যেতে পারছে না। ফলে নিচু এলাকার মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে। এই বিষয়টি আমি সিডিএ’র বোর্ড সভায়ও তুলে ধরেছি।’

ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!