পূর্ব ষোলশহরের অলিগলিতে জমে থাকা নোংরা পানিতে দুর্ভোগ এলাকাবাসীর

চট্টগ্রাম নগরীর ছয় নম্বর পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ডের ওমর আলী মাতব্বর লেইনের লক্ষ্মী মাঝির বাড়ির গলিতে গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে জমে আছে পানি। ফলে এলাকার হাজারো মানুষকে চলাচলে পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ। বিশেষ করে স্কুল ও কলেজ শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগের শেষ নেই। কিন্তু সমস্যা সমাধানে কারও মাথাব্যথা নেই।

স্থানীয় কাউন্সিলরের জানান, এলাকার খালের সংস্কার কাজের কারণে মুখ বন্ধ করে দেওয়ায় এমন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এসব বিষয়ে জবাব দিতে দিতে তিনি ক্লান্ত বলে জানান।

সরেজমিন দেখা গেছে, লক্ষ্মী মাঝির বাড়ির গলির শুরু থেকে নুর ছায়া ভবন পর্যন্ত জমে আছে নোংরা পানি। এই পানির মধ্যেই চলাচল করছে এলাকার লোকজন। এছাড়া নিচতলার বিভিন্ন বাসা-বাড়িতেও ঢুকেছে পানি। চলাচলের সুবিধায় সৈয়দ টাওয়ারের সামনে দেওয়া হয়েছে কংক্রিটের বস্তা।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, ড্রেনগুলো আর্বজনায় ঠাসা। কবে, কখন পরিষ্কার করা হয়েছে, সঠিক কারো জানা নেই। কাউন্সলিরকে জানিয়েও মিলছে না সমাধান। ফলে দুর্ভোগ কমছে না।

এলাকার বাসিন্দা মো. ওয়াজিউল্লাহ বলেন, ‘বর্ষার সময় দুর্ভোগের সীমা থাকে না। এখন বর্ষা ছাড়াও পানি জমে থাকছে। এলাকার এক পক্ষ ব্যক্তি উদ্যোগে রাস্তা উঁচু করতে চাইলেও অন্য পক্ষের বাঁধার কারণে সমাধান হচ্ছে না। এছাড়া ড্রেনগুলো আমাদের নিজস্ব উদ্যোগে পরিষ্কার করতে হয়।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার এক দোকানি জানান, বর্ষাকালে হাঁটু থেকে কোমর পর্যন্ত পানিতে তলিয়ে যায় এলাকা। রাস্তা উঁচু করা হলেও বিভিন্ন এলাকার অলি-গলি উঁচু করা হয়নি। ফলে সুফল মিলছে না। এছাড়া ড্রেনগুলো সঠিক সময়ে পরিষ্কার করা হয় না।

এদিকে জলাবদ্ধতা নিরসনে বির্জা খালে দেওয়া বাঁধ এলাকার বিভিন্নি অলি-গলিতে পানি জমে থাকার অন্যতম কারণ বলে জানান কাউন্সিলর এম আশরাফুল আলম।

কাউন্সিলর বলেন, ‘ড্রেনে ময়লা-আর্বজনা পরিষ্কার আমার দায়িত্ব। তবে খালে ড্রেনের পানি যাওয়া বন্ধ থাকায় দুর্ভোগ বাড়ছে। সম্প্রতি সিডিএর বোর্ড সভায় সদস্য হিসেবে এসব নিয়ে কথা বলেছি। তারা বলেছেন, এসব বিষয় নিয়ে দু’মাস পর কথা বলতে।’

কাউন্সিলর আরও বলেন, ‘বিভিন্ন এলাকায় জমে থাকা পানগিুলো যদি পাম্প দিয়ে বের করে দেওয়া হত তাহলে দুর্ভোগ কমত। আমার ওয়ার্ডের ওমর আলী মাতব্বর লেনের বিভিন্ন এলাকার অলি-গলি ও নিচ তলার বাসা-বাড়িতে পানি জমে আছে। এলাকার মানুষকে জবাব দিতে দিতে আমি ক্লান্ত। মেয়র মহোদয় ও সিডিএ চেয়ারম্যানকে সমস্যার বিষয়ে অবহিত করেছি।’

ডিজে