পূর্ণিমার জোয়ারে কুতুবদিয়ার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

পূর্ণিমার জোয়ারে কুতুবদিয়ার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত 1কুতুবদিয়া প্রতিনিধি : পূর্ণিমার জোয়ারের বৈরী আবহাওয়ার ফলে সোমবার দুপুরে সাগরের জোয়ারের পানির স্বাভাবিক চেয়ে ৩/৪ফুট উচ্চতা বৃদ্ধি পেলে কুতুবদিয়া উপকূলের ব্যাপক এলাকা প্লাবিত হয়।
প্রবল বর্ষণ আর প্লাবনে উপকূলের প্রায় ৬ হাজার ঘরবাড়ি তলিয়ে যায়। কুতুবদিয়া উপকূলের আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের কাহারপাড়া,তেলিপাড়া,বায়ুবিদ্যুৎ এলাকা,তাবলরচর,আনিচের ডেইল, জেলেপাড়া,বড়ঘোপ ইউনিয়নের মুরালিয়া লেমশীখালী ইউনিয়নের পেয়ারাকাটা,উত্তর ধুরুং ইউনিয়নের ফয়জনিরবাপেরপাড়া, চরধুরুং, কায়ছারপাড়া, কালামারপাড়া এলাকায় জোয়ারের পানি লোকালয়ে উঠে গত রবিরার রাতে এবং মোসবার দুপুরে ৬ হাজারের অধিক ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়েছে বলে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম নুরুল বশর চৌধূরী নিশ্চিত করেন।
সোমবার (১২জুন) দুপুরে ইউএনও সুজন চৌধুরী ও উপজেলার চেয়ারম্যান এটিএম নুরুল বশর চৌধূরী সরেজমিনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ খবর নিশ্চিত করেন।
কক্সবাজার জেলা আ’লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি বড়ঘোপ ইউপির চেয়ারম্যান এডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধূরী জানান, কুতুবদিয়া উপকূলের ওপর বয়ে যাওয়া (৩০মে)ঘূর্ণিঝড় মোরা’র আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ১২দিনেও ঘুড়ে দাড়াতে পারেনি। ঘূর্ণিঝড়ের দুই সপ্তাহ যেতে না যেতেই পূর্ণিমার জোয়ারে ঐ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে আবারও লন্ডভন্ড করে দিয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত কোন ধরনের নিখোঁজের খবর পাওয়া যায়নি। কুতুবদিয়া উপকূলে আউশ চাষের ১৪০ হেক্টর বীজতলার মধ্যে অধিকাংশ বীজতলা নোনা জলে তলিয়ে গেছে বলে উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা গিয়াস উদ্দিন জানান। বান্দরবান জেলা সার্কেলের পাউবোর ৭১ পোল্ডারের নিবার্হী প্রকৌশলী শফিকুর রহমান বলেন, কুতুবদিয়া উপকূলে ২কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ভাঙা থাকায় পূর্ণিমার জোয়ারের পানি লোকালয়ে উঠে পড়ে। এতে ব্যাপক এলাকা প্লাবিত হয়েছে। জরুরী ভিত্তিতে ভাঙন বাঁধ মেরামতের জন্য প্রক্রিয়াধীন বলে জানান।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!