গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের মামলায় এনামুল করিম নামে চকবাজার শাখার পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপকের উচ্চ আদালতের জামিননামায় স্বাক্ষর করেনি চট্টগ্রামের একটি আদালত। সোমবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ওসমান গণির আদালত এই আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (১১ নভেম্বর) হাইকোর্ট থেকে জামিন নেয় চট্টগ্রামের পূবালী ব্যাংক লিমিটেডের চকবাজার শাখার ব্যবস্থাপক এনামুল করিম। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন আদালতে যে পাসপোর্টটি জমা দিয়েছেন, সেটার মেয়াদ ছিল না। ২০০৬ সালের মেয়াদোত্তীর্ণ পাসপোর্টের কারণে তার জামিননামায় স্বাক্ষর করেননি আদালত।
বিষয়টি নিশ্চিত করে দুর্নীতি দমন কমিশনের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাভলু বলেন, ‘আসামি পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক এনামুল করিমের পাসপোর্ট আদালতে জমা দেওয়া উচ্চ আদালতের শর্ত ছিল। কিন্তু তার আইনজীবী তার যে পাসপোর্টটি জমাদিয়েছে সেটির মেয়াদ নেই।এটির মেয়াদ চলে গেছে ২০০৬ সালে।এ কারণে তার জামিননামায় স্বাক্ষর করেননি আদালত। পরবর্তীতে তার পাসপোর্ট মেয়াদ বৃদ্ধি ও এফিডেভিট জমা দিতে নির্দেশ দেন আদালত।
প্রসঙ্গত, গত ৭ জানুয়ারি গ্রাহকের প্রায় ১৩ কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় ব্যাংকের ম্যানেজারসহ মোট ৭জনের বিরুদ্ধে চকবাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করে পূবালী ব্যাংকের উপ-মহাব্যবস্থাপক এবং আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক মনজুরুল ইসলাম। গত ১৪ জানুয়ারি এনামুল হকসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মুআ/এসএস