পুলিশ হেফাজতে ব্যবসায়ীর মৃত্যু, এএসআই কামরুল সাময়িক বরখাস্ত

চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানা পুলিশ হেফাজতে এক দোকান কর্মচারীর মৃত্যুর ঘটনায় কামরুল হাসান নামের এক সহকারী উপপরিদর্শককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

শুক্রবার (১ মে) রাতে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিও চিত্র দেখে প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেয় তদন্ত কমিটি- জানিয়েছেন সিএমপি পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ জোন) মেহেদী হাসান।

বরখাস্ত হওয়া কামরুল হাসান কোতোয়ালী থানার বক্সিরহাট পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বে ছিলেন।

এদিকে, পুলিশ হেফাজতে থাকা ব্যবসায়ী গিরিধারী চৌধুরীর মৃত্যুর একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর তাৎক্ষনিক এএসআই কামরুল হাসানসহ ফাঁড়ির আরও দুই পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়। এ ঘটনায় মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ জোন) শাহ মো. আব্দুর রউফকে প্রধান করে ওইদিন রাতে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। শুক্রবার রাতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপপুলিশ কমিশনার মেহেদী হাসান চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ব্যবসায়ী গিরিধারী চৌধুরীকে মারধর করা একটি ভিডিও ফুটেজ দেখে প্রাথমিকভাবে তদন্তে কামরুল হাসানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। েএকই সঙ্গে অপেশাদার আচরণের জন্য তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যও সুপারিশ করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ঘটনার দিন গিরিধারী চৌধুরী কাপড়ের বস্তা টানা হেঁচড়া করার ভিডিওতে মারধর করার তথ্য প্রমাণ মেলে। ওই ভিডিওতে এএসআই কামরুল হাসান দোকানের অপর কর্মচারী নিখিল ও এক রিকশাচালককেও চড় থাপ্পর মারার প্রমাণ পাওয়া যায়।

এর আগে ২৯ এপ্রিল সন্ধ্যায় নগরের টেরিবাজার মোহাদ্দেছ মার্কেটের প্রার্থনা বস্ত্রালয় নামে একটি দোকান থেকে কাপড় নামানোর সময় বাধা দেয় ওই মার্কেটের নিরাপত্তা প্রহরী। পরে ওই প্রহরী এএসআই কামরুল হাসানকে খবর দিলে তিনি ঘটনাস্থলে এসে পুলিশ ফাঁড়ির মাঠে নিয়ে যান দোকানের সত্ত্বাধিকারী গিরিধারী চৌধুরী (৬৫) ও তার এক কর্মচারীকে। সেখানে অসুস্থবোধ করলে গিরিধারী চৌধুরীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মুআ/এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!