পুলিশের ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজি, র‌্যাবের কব্জায় ইপিজেড থানার ‘ক্যাশিয়ার’ সুলতান

ফুটপাতের দোকান ও পরিবহন থেকে শুরু করে সবখানে পুলিশের ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজি করতো ইপিজেড থানা ক্যাশিয়ার সুলতান। তাকে মাসোহারা না দিলে দোকানে ঝুলতো তালা। চাঁদাবাজির মাধ্যমে প্রতিমাসে হাতিয়ে নেন লাখ টাকা। ইপিজেড এলাকার ফ্রি পোর্ট, হালিশহর, কলসী দিঘির পাড়, সিমেন্ট ক্রসিং, মাইলের মাথা এলাকাজুড়ে তার চাঁদাবাজির রাজত্ব। অবশেষে চাঁদাবাজির টাকাসহ র‌্যাবের জালে ধরা পড়েন চাঁদাবাজ সুলতান আহমদ (৪৫)।

মঙ্গলবার (১১ মে) রাতে ইপিজেড থানার দক্ষিণ হালিশহর সিমেন্ট ক্রসিং এলাকায় অভিযান চালিয়ে আটক করা হয় তাকে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে র‌্যাব-৭’র সহকারী পরিচালক মিডিয়া মো. নুরুল আবছার বলেন, ইপিজেড এলাকায় সুলতান বাহিনীকে চাঁদা না দিয়ে কেউ ফুটপাতে দোকান কিংবা পরিবহন ব্যবসা চালাতে পারতো না৷ তার বাহিনীকে প্রতিদিন চাঁদা দিতে হতো। চাঁদা না দিলে মারধর করে দোকানে তালা ঝুলিয়ে দিতো। ইপিজেড এলাকার ফ্রি পোর্ট, হালিশহর, কলসী দিঘির পাড়, সিমেন্ট ক্রসিং, মাইলের মাথা এলাকায় চলে তার চাঁদাবাজির রাজত্ব। সম্প্রতি ঈদ বকশিস নামে চাঁদার পরিমাণ বাড়িয়ে দিলে এলাকার ব্যবসায়ীরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠে৷ অভিযোগের ভিত্তিতে সুলতানের উপর নজরদারি শুরু করে র্যাবের একটি অনুসন্ধানী টিম৷

তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে ইপিজেড থানার দক্ষিণ হালিশহর সিমেন্ট ক্রসিং মসজিদের দক্ষিণ পাশে একটি দোকানে অভিযান চালিয়ে ক্ষুদ্র ব্যবসয়াী জনৈক মো. নুরনবী থেকে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা নেওয়ার সময় হাতেনাতে আটক করে র‌্যাব। আটক সুলতানের বিরুদ্ধে নগরের ইপিজেড থানায় ২০১১ সালে একটি মাদক মামলা ও ২০১৩ সালে চাঁদাবাজি মামলাসহ মোট দুটি মামলা রয়েছে। চাঁদাবাজির ঘটনায় সুলতানের বিরুদ্ধে ইপিজেড থানায় আরও একটি চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সিএম/এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!