পুলিশের প্রশ্রয়ে চকবাজারে বসছে মদ ইয়াবা জুয়ার আসর (ভিডিও)

গ্রেপ্তারের পরদিনই বেরিয়ে আসে জামিনে

চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার থানার বাকলিয়া বগারবিল এলাকায় অবাধে বসছে মাদকের আসর। ইয়াবা ও মদ খাওয়ার পাশাপাশি ওই এলাকায় নিয়মিত বসছে জুয়ার আসরও।

স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা মাদক ও জুয়ার এই রমরমা হাট চলছে শরীফ, খালেক, রহমান ও মাহফুজ নামের চারজনের নেতৃত্বে। অবৈধ ওই জুয়া খেলায় লাখ লাখ টাকার লেনদেন চলছে ওই এলাকায়। আর এসবই হচ্ছে পুলিশের চোখের সামনে। এই আসরে প্রতিদিন প্রবাসী, চাকরিজীবী থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণীর লোকের আসা-যাওয়া চলে।

গত ৪ সেপ্টেম্বর রাত ১০টার দিকে র‍্যাব জুয়ার আসরে অভিযান পরিচালনা করে অন্তত ১৫ জনকে আটক করে চকবাজার থানায় সোপর্দ করে। কিন্তু পরদিনই জামিনে বেরিয়ে আসে এইসব অভিযুক্ত আসামি। আবার বসতে থাকে জুয়ার আসর।

স্থানীয় বাসিন্দা হোসেন সোহরাওয়ার্দী চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকায় প্রকাশ্যে ইয়াবা, মদ ও জুয়ার রমরমা আসর চলে আসছে। তাদের অসামাজিক কার্যকলাপে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। আমি ও আমার ভাই দীর্ঘদিন ধরে মদ-জুয়ার ব্যবসা বন্ধের প্রতিবাদ করে আসলেও উল্টো আমাদের মিথ্যা মামলার আসামি হতে হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘র‍্যাব অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে চকবাজার থানায় সোপর্দ করে। দুঃখের বিষয়, পরদিনই তারা জামিনে বের হয়ে আমার বাড়ির সামনে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয়। আমাকে ফোনে করে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। পরে আমি চকবাজার থানায় জুয়ার বোর্ডের মালিক, ইয়াবা ব্যবসায়ী, বোর্ড ম্যানেজারের বিরুদ্ধে জিডি করি।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একজন বলেন, ‘এখানে প্রতিদিন ইয়াবা, মদ ও জুয়ার আসর বসার কারণে আমাদের যুবকরা দিন দিন মাদকের দিকে ঝুঁকছে। যারা এসব করে আসছে তাদের প্রভাব বিস্তারে কেউ প্রতিবাদ করলে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। প্রশাসনের প্রতি আমাদের আকুল আবেদন অতি দ্রুত এদের বিরুদ্ধে যেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়।’

এ বিষয়ে চকবাজার থানার ওসি রুহুল আমিন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি অবগত আছি। গতকাল (বৃহস্পতিবার) আমাদের টিম পাঠিয়েছি। কিন্তু তারা আমাদের অবস্থান টের পেয়ে পালিয়ে যায়। আমরা তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছি।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘র‍্যাব গ্রেফতার করে তো মামলা দিচ্ছে না, প্রসিকিউশন দেওয়া হচ্ছে। আর জুয়ার আইনটি হচ্ছে একটি নরমাল আইন। এই কারণে তারা বের হয়ে যাচ্ছে। আর বের হয়ে যাওয়ার বিষয়টা সম্পূর্ণ আদালতের বিষয়। আমাদের কাজ হচ্ছে আসামিদের গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা। আদালত যেটা সিদ্ধান্ত নেবে সেটাই রাইট।’

আনোয়ার/এমএফও/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!