‘পুলিশের আদরে’ চলছে বেপরোয়া মদ বাণিজ্য—অনুপ বিশ্বাসের মদের মহালে র‌্যাবের অভিযান, পুলিশ ঘুমে

থানা থেকে প্রায় পাঁচশ মিটারের দূরুত্বে অবস্থিত চট্টগ্রামের কোতোয়ালী ফিশারীঘাট অনুপ বিশ্বাসের মদের মহাল। এ মহালটিকে ঘিরে দিনরাত চলছে নির্বিচারের মদ বেচাকেনা ও সেবনকারিদের উপদ্রব। দীর্ঘদিন ধরে মহালটিকে সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানিয়ে স্থানীয়রা প্রতিবাদ করলেও এর কোনো প্রতিকার মিলেনি। সবকিছু জেনে শুনে নিশ্চুপ রয়েছে পুলিশ।

অভিযোগ রয়েছে, ফিশারীঘাটে আলোচিত অনুপ বিশ্বাসের মদের মহালের ভেতরে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান (র‌্যাব)-৭ অভিযানে চালালেও পুলিশ যেন কিছুই জানে না! পুলিশের এমন রহস্যজনক নীরব ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা। শুধু তাই নয়, দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকায় বেপরোয়া মদ বেচাকেনা ও সেবনকারিদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার পরও আড়ালে থেকে যাচ্ছেন মূলহোতারা।

শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) রাতে কোতোয়ালী থানার পাথরঘাটা অনুপ বিশ্বাসের মদের মহালে অভিযান চালিয়ে র‌্যাব-৭ অনুপের ‘সেকেন্ড ইন কমান্ড’ সাগর দাশের কক্ষ থেকে তিনজনকে আটক করে। অভিযানে ২০০ লিটার চোলাই মদ উদ্ধার করে র‌্যাব। কোতোয়ালী থানার ওসি নেজাম উদ্দিন জানান, র‌্যাব অভিযান চালানোর প্রায় বিশদিন আগে সেখান থেকে ৪ থেকে ৫ মাদক ব্যবসায়ীকে মদসহ আটক করে মামলা দেওয়া হয়। অভিযান চলমান রয়েছে।

জানা যায়, শুক্রবার রাতে গ্রেপ্তারকৃত তিনজন চট্টগ্রামের শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী। দীর্ঘদিন ধরে তারা অনুপ বিশ্বাসের মদের মহালে চোলাই মদের পাইকারি সাপ্লাই দিত। খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে চোলাইমদ সহ তাদেরকে আটক করেছে র‌্যাব।

আটক তিনজন হলেন, চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার পাঁচখাইন গ্রামের সোনারাম দাসের পুত্র বাবলু দাস (৩৬), পটিয়া উপজেলা নলন্দা গ্রামের মৃত জাকের হোসেনের পুত্র মো.রফিকুল ইসলাম (৪০) এবং নগরের কোতোয়ালী থানার ফিরিঙ্গি বাজার এলাকার মৃত জয়নাল আবেদীনের পুত্র জহিরুল ইসলাম মিন্টু (৩৭)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান (র‌্যাব)-৭ এর দায়িত্বরত এক কর্মকর্তা।

মুআ/কেএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!