পুলিশি হয়রানি বন্ধে নগরীতে পরিবহন ধর্মঘট

পুলিশি হয়রানি বন্ধে নগরীতে পরিবহন ধর্মঘট 1বিশেষ প্রতিবেদক : রোববার (৩ ডিসেম্বর) সকাল ছয়টা থেকে দুর্ভোগে পড়েছেন অফিসমুখো মানুষ। পুলিশি হয়রানি বন্ধ, অনুমোদন ও ফিটনেসবিহীন যানবাহন বন্ধের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের গণপরিবহন ধর্মঘট করছে গাড়িমালিকদের একাংশ।

শত শত মানুষ বেশি ভাড়ায় রিকশা, সিএনজি অটোরিকশায় কর্মস্থলে গেলেও অনেকে হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছাতে দেখা গেছে। ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বাদুরতলার যাত্রী আবদুর রহমান বলেন, ‘পূর্বঘোষণা ছাড়া এ ধরনের ধর্মঘটের কারণে দাঁড়িয়ে আছি এক ঘণ্টা হলো। সুযোগ পেয়ে ২০ টাকার রিকশাভাড়া ৫০ টাকা দাবি করছে। ৬০ টাকার সিএনজি অটোরিকশাভাড়া ১২০ টাকা চাইছে। সবচেয়ে অসুবিধার হচ্ছে বাড়তি ভাড়ায়ও গাড়ি মিলছে না।’

শুধু বাদুরতলা নয়, চকবাজার, আন্দরকিল্লা, কাজীর দেউড়ি, লালখানবাজার, টাইগারপাস, বহদ্দারহাট, আগ্রাবাদসহ পুরো নগরীতেই অপেক্ষমাণ যাত্রীদের জটলা দেখা গেছে। সাপ্তাহিক ছুটি ও ঈদে মিলাদুন্নবীর ছুটি শেষে অনেকে গ্রামের বাড়ি থেকে শহরের প্রবেশমুখগুলোতে এসেছে পড়েছেন দুর্ভোগে।

চট্টগ্রাম মেট্রো গণপরিবহন মালিক সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক পরিচয় দিয়ে বেলায়েত হোসেন বেলাল বলেন, বাস, মিনিবাস, হিউম্যান হলার, টেম্পুসহ সব ধরনের গণপরিবহন ধর্মঘটের আওতায় রয়েছে। আমাদের পরিষদের অধীনে দেড় হাজারের বেশি গাড়ি রয়েছে। এসব গাড়ি পরবর্তী দাবি আদায়ের ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত চলবে না।

যাত্রীর তুলনায় গাড়ির সংকট থাকলে কিছু কিছু গণপরিবহন চলাচল করা প্রসঙ্গে বেলায়েত হোসেন বলেন, লুসাই মোটরসের গাড়িগুলো চলছে। আমাদের আন্দোলন তাদের অবৈধ গাড়ি, রেজিস্ট্রেশনবিহীন গাড়ি, নির্দিষ্ট রুটের বাইরে চলাচলরত গাড়ি বন্ধের দাবিতে। এখন তাদের কারণে গণপরিবহনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে। আমরা এর থেকে মুক্তি চাই। আমরা ১১ দফা দাবিতে দীর্ঘদিন আন্দোলন করে আসছি। এখন দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!