চট্টগ্রামের পুলিশি স্থাপনায় ঢুকে জঙ্গি হামলার আশংকা করছে পুলিশ। সেজন্য সব পুলিশি স্থাপনা, যানবাহন ও সদস্যদেরকে সর্তক থাকতে বলা হয়েছে জরুরি এক বেতার বার্তায়। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার পর পুলিশ কন্ট্রোলরুম থেকে জারি করা এ সতর্ক বার্তার পর নড়েচড়ে বসে পুলিশ প্রশাসন। ইতিমধ্যে জঙ্গি হামলার আশঙ্কার বার্তা গেছে পুলিশের সব ইউনিটে।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের (সিএমপি) দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, পুলিশ সদর দপ্তরের গোপন বার্তা পেয়েই সিএমপির কন্ট্রোল রুম থেকে জঙ্গি হামলার আশঙ্কার কথা জানিয়ে সন্ধ্যার পর জরুরি বেতার বার্তা জারি করা হয়। এরপরই সর্বত্র সর্তকতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। থানায় প্রবেশমুখে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়। পরিচয় নিশ্চিত হয়ে এবং ব্যাপক তল্লাশির মুখেই আগন্তুকদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয়।
এছাড়া নগরীর গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট। সন্দেহজনক গাড়ি ও ব্যক্তিদের তল্লাশি করা হয়। বিশেষ করে বেশকিছু হোটেল ও মেসে ঝটিকা তল্লাশি চালায় পুলিশ।
এদিকে পুলিশ সদস্যদের সেইফ গার্ড পরিহিত অবস্থাতেই দায়িত্ব পালন করতে বলা হয়েছে বিশেষ বার্তায়।
ওই বার্তায় বলা হয়, জঙ্গি গোষ্ঠীর হামলার লক্ষ্যবস্তু হতে পারে পুলিশি স্থাপনা (থানা, ফাঁড়ি, তদন্ত কেন্দ্র) গাড়ি ও পুলিশ সদস্যরা। তাই সর্তকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনে জোর নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।
পুলিশের নির্ভরযোগ্য সূত্রে বিষয়টি চট্টগ্রাম প্রতিদিন নিশ্চিত হলেও আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এর আগে ৩১ মে শুক্রবারে জঙ্গি হামলার আশঙ্কার বার্তা গিয়েছিল পুলিশের সব ইউনিটে। বিশেষ করে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার এলাকাকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছিল কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের ওই গোপন বার্তায়। এতে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দিন হিসেবে বলা হয়েছে, ৩১ মে শুক্রবার ও ১ জুন শবেকদরের সন্ধ্যাকে। তবে জঙ্গি হামলার বার্তা থাকলেও সে ধরনের কিছুই ঘটেনি শেষপর্যন্ত।
অন্যদিকে গত সপ্তাহে ‘লোন উল্ফ’ কায়দায় চট্টগ্রামসহ বাংলাদেশে ইসকনের যে কোনও মন্দিরে বড়সড় হামলা হতে পারে— গত কয়েক মাসে জোগাড় করা বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করে এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছে ভারতের একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা। ইসকনকে টার্গেট করে জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) কিংবা এ ধরনের অন্য সংগঠন এই হামলার ছক কষছে বলে ওই গোয়েন্দা সংস্থাগুলো আশঙ্কা প্রকাশ করেছে।
এডি/সিপি