পুলিশকে বোকা বানিয়ে চম্পট আসামি, এসআইসহ বরখাস্ত ৩

চট্টগ্রামে পুলিশ হেফাজত থেকে এক আসামি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আদালতে নেয়ার পথে পুলিশ হেফাজত থেকে পালিয়ে যান আবুল কালাম নামে ওই রোহিঙ্গা শরণার্থী। যিনি ইয়াবা-সহ গ্রেপ্তার হয়েছিলেন কোতোয়ালী থানা পুলিশের হাতে।

এ ঘটনায় কোতোয়ালী থানার এক উপপরিদর্শক ও দুই কনস্টেবলকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। সাময়িক বহিষ্কার হওয়া উপপরিদর্শকের নাম সেতু আক্তার, দুই কনস্টেবল হলেন শাহাদাত ও নজরুল।

একইসাথে পুলিশ হেফাজত থেকে কী করে আসামি পালালো সেটা খুঁজে বের করতে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রধান করা হয়েছে অতিরিক্ত উপ-কমিশনারকে। কমিটিকে তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেয়ারও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

চট্টগ্রাম মেট্রোপিলটন পুলিশ (সিএমপি) দক্ষিণের ডিসি জসিম উদ্দীন বলেন, ‘এ ঘটনায় সিএমপির দক্ষিণ জোনের এডিসির নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। কমিটি প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে কর্তব্যে অবহেলার দায়ে পুলিশের এক সাব-ইন্সপেক্টর ও দুই কনস্টেবলকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।

পালিয়ে যাওয়া আসামি আবুল কালামকে ধরার জন্য পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে। তা ছাড়া গোয়েন্দা তৎপরতাও বাড়ানো হয়েছে।’

জানা গেছে, আবুল কালাম কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানার লেদা পাড়ার রোহিঙ্গা শরণার্থী। তার বাবার নাম হামিদ হোছেন।

কোতোয়ালী থানা সূত্রে জানা যায়, নগরের কোতোয়ালী থানার কদমতলী মোড়ের উত্তর পাশে ফরিদের চায়ের দোকান থেকে ১ হাজার ৫০ পিস ইয়াবাসহ আবুল কালামকে রোববার (৫ ডিসেম্বর) আটক করে চট্টগ্রাম মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের বিভাগীয় গোয়েন্দা শাখা।

এ ঘটনায় চট্টগ্রাম মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের বিভাগীয় গোয়েন্দা শাখার উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ টিপু সুলতান বাদী হয়ে কোতোয়ালী থানায় মামলা করেন। এদিন আবুল কালামসহ কোতোয়ালী থানা থেকে একাধিক আসামিকে আদালতে নেয়া হয়।

আদালতে সেরেস্তায় আসামির নাম ঠিকানা মেলানোর সময় আবুল কালামকে পাওয়া যায়নি। থানা থেকে আদালতে নেওয়ার কোনো একসময় আবুল কালাম পালিয়ে গেছে।

এআরটি/কেএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!