পুলিশকে ফাঁকি দিতে এনআইডি পরিবর্তন, গ্রেপ্তার বাকলিয়ায়

গ্রেপ্তার এড়াতে জাতীয় পরিচয়পত্রে নাম ও পিতার নাম পরিবর্তন করে দুই মামলায় পলাতক থাকা অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে বাকলিয়া থানা পুলিশ। থানায় অপরাধের তথ্য (ক্রাইম ডাটা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, সিডিএমএস) যাচাই করে ২০১৭ সাল থেকে পলাতক মো. লিটনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

জানা গেছে, পটিয়ার হরিণখাইন এলাকার মো. লিটনের মা জোহরা বেগম। তার পিতা এখলাছ মিয়ার সাথে মায়ের তালাক হলে জোহরার বিয়ে হয় নুরুল ইসলামের সাথে। এখলাছ-জোহরার সংসারে তিন সন্তানের দুইজন এখলাছের কাছে অপরজন লিটন তার খালা ফাতেমা বেগম ও খালু মাসুদের সংসারে বড় হন। তার খালার স্বামী মাসুদের বাড়ি কুমিল্লায়।

২০১৭ সালে নারী নির্যাতন মামলায় চকবাজার থানায় গ্রেপ্তার হন লিটন। জামিনে বের হয়ে নিরুদ্দেশ হয়ে যান। নিরুদ্দেশ অবস্থায় লিটন পরিবর্তন করে নেন নিজের জাতীয় পরিচয়পত্র। পিতা এখলাসের জায়গায় মো. মাসুদ আর মাতা জোহরা বেগমের পরিবর্তে ফাতেমা বেগম। স্থায়ী ঠিকানা পটিয়ার পরিবর্তে কুমিল্লা। মামলা থেকে বাঁচতে নিজের পরিচিতি বদলে ফেলেন তিনি। সেই থেকে চকবাজার থানা লিটনের খোঁজ পায়নি।

অবশেষে সোমবার (১৫ জুলাই) বাকলিয়া থানা মাদক ও ছিনতাইয়ের মামলায় আটক করে লিটনকে। বাকলিয়া থানার এই মামলায় লিটনের পিতার নাম মাসুদ, মাতার নাম ফাতেমা। বাকলিয়া থানা তার সিডিএমএস যাচাই করে পেয়েছে লিটন নারী নির্যাতন মামলায় ফেরারী আসামি। পুলিশও প্রথমে সন্দিহান ছিল পিতা, মাতা ও ঠিকানা গরমিল থাকায়। তবে ছবি মিলে যাওয়ায় পুলিশের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে লিটন স্বীকার করেন তিনি জাতীয় পরিচয়পত্র পরিবর্তন করে আত্মগোপনে ছিলেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নেজাম উদ্দিন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, বাকলিয়া থানায় দায়ের হওয়া অটোরিক্সা ছিনতাইয়ের মামলার আসামি লিটনকে বাকলিয়া মিয়াখান নগর এলাকা থেকে আটক করা হয়। থানায় অপরাধের তথ্য (ক্রাইম ডাটা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, সিডিএমএস) যাচাইয়ে দেখা যায় তিনি নাম ঠিকানা পরিবর্তন করে আরেকটি মামলায় আত্মগোপনে ছিলেন।

তাকে দুই মামলায় আদালতে পাঠালে আদালত শুনানি শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বলে জানান ওসি নেজাম।

এফএম/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!