পুরো হকার্স মার্কেটই অগ্নিঝুঁকিতে

চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের উদ্যোগে বিভিন্ন মার্কেটে আগুন ঝুঁকিপূর্ণ সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেওয়া হয়। মার্কেটের সভাপতি–সম্পাদকসহ ব্যবসায়ীদের নোটিশ দিয়ে সচেতন করা হয় । কিন্তু নগরীর জহুর হকার্স মার্কেটে এ ধরনের কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।

সরেজমিনে দেখা যায়, জহুর হকার্স মার্কেটের সরু রাস্তাটির দুই পাশে মালামাল রেখে দখল করে রাখা হয়। ফলে আগুন লাগলে নির্দিষ্ট সময়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় না ফায়ার সার্ভিস। শনিবার ভোর রাতে জহুর হকার্স মার্কেটের ভিতরে শাহ জালালাবাদ মার্কেটে আগুন লাগে। কিন্তু আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সকাল ৯টা বেজে যায় ফায়ার সার্ভিসের। আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লেগে যায় ৫ ঘণ্টা। এরমধ্যেই ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ৫০ কোটি টাকার। ছাই হয় শতাধিক দোকান।

চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক জসিম উদ্দিন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, মার্কেট করার আগে ফায়ার সার্ভিস থেকে অনুমোদন নেওয়ার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু জহুর হকারের শাহ জালালাবাদ মার্কেটের ফায়ার সার্ভিসের কোনো অনুমোদন নেই। আদালত ভবনের পাহাড় কেটে এ মার্কেট করা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ অবৈধ।

তিনি বলেন, গলির ভিতরে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি প্রবেশের কোনো সুযোগ নেই। লালদিঘীর পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ করা হয়েছে। পানির ব্যবস্থাও অনেকদূরে ছিল। তাই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে অনেক সময় লেগে গেছে।

জসিম উদ্দিন বলেন, এ মার্কেটের দোকানগুলো অবৈধ। কিন্তু এ অবৈধ মার্কেটের ব্যবসায়ীরা সিটি করপোরেশনের ট্রেড লাইসেন্স পেয়ে যায়। শুধু তাই নয়, ব্যাংকের মালিকরাও তাদের লোন দিতে দ্বিধা করেন না। অথচ আজকের আগুনে সবাই নিঃস্ব।
শাহ জালালাবাদ মার্কেটের সভাপতি আবদুল আজিজ বলেন, আগুন লাগার ঘটনাটি শুনি ভোর ৩টা ৫০ মিনিটে। সাথে সাথেই ফায়ার সার্ভিসে ফোন দিই। ফায়ার সার্ভিস ৫ মিনিটের মধ্যে মার্কেটে চলে এসেছে। ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের কাজে কোনো ঘাটতি ছিল না।

তিনি আরো বলেন, এখানকার ব্যবসায়ীদের কয়েকবার নোটিশ দিয়েছি। অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা স্বয়ংসম্পূর্ণ রাখার তাগাদা দিয়েছি। কিন্তু কে শোনে কার কথা! এখানে কয়েকটি চা দোকান রয়েছে। তারা গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করে। তাদেরকে গ্যাস সিলিন্ডার সরানোর জন্য নোটিশ দিয়েছি। তারা সরাবে বলে অঙ্গীকার করেছিল। কিন্তু সরায়নি। এরপর আমাদের আর কি করার আছে!

উল্লেখ্য, শনিবার ভোররাতে শাহ জালালাবাদ মার্কেটের শতাধিক দোকান আগুনে পুড়ে যায়। এতে নিঃস্ব হয় অনেক ব্যবসায়ী। অনেকের রয়েছে ব্যাংক লোন। অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা স্বাভাবিক না থাকায় ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লেগে যায় ৫ ঘণ্টারও বেশি।

সিআর

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!