পুনর্গঠনের কাজ শুরু চট্টগ্রামের বিএম কনটেইনার ডিপোতে, খরচ হবে ১৫০ কোটি

কাজ দেখে খুশি মার্স্ক ও এইচএন্ডএমের প্রতিনিধিদলও

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপো পুনর্গঠনের কাজ শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। নিরাপত্তার বিষয়কে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে নতুন করে তৈরি করা হচ্ছে ডিপো। কনটেইনার ডিপোর ভেতরেই ফায়ার পাম্প স্থাপন করা হয়েছে। যেখানে ১৯ মিনিটের মধ্যেই পুরো ডিপো ফোম সিস্টেমের আওতায় আনা হচ্ছে। যার ফলে অগ্নি দুর্ঘটনা ঘটলেও খুব সহজেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে।

পুনর্গঠনের কাজ শুরু চট্টগ্রামের বিএম কনটেইনার ডিপোতে, খরচ হবে ১৫০ কোটি 1

এছাড়া অগ্নি দুর্ঘটনাটা এড়াতে ডিজেল ফায়ার পাম্প, ইলেকট্রনিক ফায়ার পাম্প ও জকি পাম্প স্থাপনের কাজও প্রায় শেষের দিকে। ডিপোর ভেতরে তিন লাখ গ্যালন পানি ধারণ ক্ষমতার ট্যাংক স্থাপন করা হচ্ছে। ডিপোর ১২০ জন কর্মীকে ফায়ার ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিকমানের শেড নির্মাণ করা হচ্ছে।

পুনর্গঠনের কাজ শুরু চট্টগ্রামের বিএম কনটেইনার ডিপোতে, খরচ হবে ১৫০ কোটি 2

এদিকে বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিএম কনটেইনার ডিপো পরিদর্শনে আসেন আন্তর্জাতিক কনটেইনার শিপিং সংস্থা মার্স্ক ও সুইডেনের কোম্পানি এইচ এন্ড এমের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল। ডিপোর সার্বিক কার্যক্রমে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন তারা।

প্রতিনিধিদলে ছিলেন এইচঅ্যান্ডএমের গ্লোবাল ভাইস প্রেসিডেন্ট ম্যাটস স্যামুয়েলসন, সুইডেন থেকে এইচঅ্যান্ডএমের বিজর্ন ব্লোমেগ্রেন, বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার জিয়াউর রহমান, বাংলাদেশের পাবলিক অ্যাফেয়ার্স ক্যালেবো অ্যানেলি, গুলশান আরা মুন্নি, ফ্রান্সিস গোমেজ এবং মার্স্ক লাইনের গ্লোবাল ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্লাউস কোয়েলার্ট প্যাগ, সুইডেন থেকে সোফিয়া পার্টোভি, নেদারল্যান্ড থেকে কার্লিন ভ্যান ডের মার্ক, অ্যাক্তা কোহলি, মানব মেহতা, অভিজিৎ পাল, রাশেদুজ্জামান রানা প্রমুখ।

ডিপো কর্তৃপক্ষ বলছে, ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে। সব নীতিমালা মেনেই ডিপো পুনর্গঠনে ১৫০ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য ডিপোর সব অংশ সিসিটিভি লাগানো হচ্ছে। জানুয়ারির শুরু থেকে ডিপো চালুর পাশাপাশি রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছে তারা।

বিএম কনটেইনার ডিপো লিমিটেডের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ক্যাপ্টেন মাইনুল আহসান বলেন, নতুন ব্যবস্থাপনায় নিরাপত্তার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের পরিবারের পাশে আছে ডিপো কর্তৃপক্ষ। ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ১৮ কোটি টাকা বিতরণ করা হয়েছে। আহত তিন কর্মীকে চিকিৎসার জন্য ভারতে পাঠানো হয়েছে।

তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারের দায়িত্বের পাশাপাশি তাদের ছেলেমেয়েদের অনার্স পর্যন্ত পড়াশোনার দায়িত্ব নিয়েছে ডিপো কর্তৃপক্ষ। পড়ালেখা শেষ করে তারা চাইলে ডিপোতে চাকরি করতে পারবে। তিন মাস ধরে কোম্পানির প্রফিট নেই। তবু্ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন দিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

এর আগে গত ৪ জুন বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীসহ ৪৯ জন নিহত হয়।

আরএম/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!