পুকুর পাড়ে রাতের আঁধারে লুকিয়ে ছিল হত্যা মামলার আসামি, পুলিশের হাতে ধরা

পুকুর পাড়ে রাতের আঁধারে লুকিয়ে থাকা অবস্থায় পটিয়ার ইউনুস হত্যা মামলার তিন আসামিকে আটক করেছে পুলিশ। আটকরা হলেন, মামলার প্রধান আসামি এরশাদ (৩০), নুরুল আজিম (৪০) ও তার স্ত্রী চেমন আরা বেগম (৩২)। বুধবার (২৭ অক্টোবর) রাত বারোটার দিকে পটিয়া থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।

এর আগে (মঙ্গলবার) নিহত ইউনুসের স্ত্রী লাভলী আক্তার বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামি করে পটিয়া থানায় মামলা করেন। এই মামলার অপর আসামিরা হলেন— নুরুল কবির, সালমা খাতুন ও সাদিয়া আকতার পপি।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পটিয়া থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আহসান হাবীব বলেন, ‘এসপি এবং ওসি স্যারের নেতৃত্বে মামলা হওয়ার পর থেকেই আসামিদের ধরতে প্রচেষ্টা চালিয়ে অবশেষে তিন আসামিকে আটক করা হয়। তাদেরকে বৃহষ্পতিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের ধরতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’

জানা যায়, নিহত ইউনুসের চাচাত ভাই নুরুল আজিমের মেয়ে সাদিয়া আকতার পপির সাথে কর্ণফুলীর দৌলতপুর এলাকার সৈয়দ মোহাম্মদের ছেলে মো. বেলালের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সোমবার সন্ধ্যায় তাদের দু’জনকে অপ্রীতিকর অবস্থায় হাতে নাতে ধরে এলাকার মানুষ। এই সময় ইউনুস মেয়ের বাবা নুরুল আজিমকে ঘটনাটি কাউকে না জানিয়ে ছেলেমেয়ে দুইজনকে বিয়ে দিতে বলেন।

পরদিন মঙ্গলবার এ বিষয়ে কথা বলতে নুরুল আজিমের ঘরে যান ইউনুস। এসময় নুরুল কবির, এরশাদ বলতে থাকেন কোন বিয়ে-শাদী হবে না, মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়েছে। এখন আমাদের ৫ লাখ টাকা নিয়ে দিতে হবে, না হয় আমরা মামলা করব।

তখন নিহত ইউনুস বলেন, তাহলে আমি আর এই ঝামেলায় নেই। এ কথা বলার পর মেয়ের বাবা আজিম, কবির ও এরশাদ বলে উঠেন, ‘তাহলে তখন সমাধানের কথা বললি কেন?’ এ কথা বলেই ইউনুসের উপর ঝাপিয়ে পড়েন তারা। তখন আজিম অন্ডকোষ চেপে ধরলে ইউনুস ঘটনাস্থলে মারা যান।

কেএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!