পুকুর কাটার নামে রাতের আঁধারে চলছে পাহাড় কাটা

পুকুর খননের আবেদন করে রাতভর চলছে পাহাড় কাটা। আবার সে পাহাড়ের কাটা মাটি রাতের আঁধারে বিক্রি করে দেয়া হচ্ছে ট্রাকে ভরে। বন পরিবেশ ও পাহাড় কাটা আইনকে উপেক্ষা করে ফটিকছড়ি উপজেলার পাইন্দং ইউনিয়নের কারবালা টিলা এলাকায় চলছে এ অপরাধযজ্ঞ।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উত্তর পাইন্দং এলাকার কারবালা টিলার তাজুর টিলা নামক স্থানে মুসাফির এগ্রো নামে একটি এগ্রো ফার্মের সাইন বোর্ড লাগানো আছে। তার একটু দক্ষিণ পাশে স্কেভেটর দিয়ে রাতভর মাটি কেটে ট্রাকে ভরে ফটিকছড়ি সদরের বিভিন্নস্থানে পাচার করছে একটি চক্র। সেখানে কোন পতিত জমি নেই। সাইন বোর্ডে উল্লেখিত মুঠোফোন নাম্বারে একাধিকবার ফোন করলেও তা বন্ধ পাওয়া গেছে।

দেখা গেছে, ফটিকছড়ি পৌর সদরের আশেপাশে অন্তত ৮ থেকে ১০ স্থানে পাহাড়ি টিলার মাটি দিয়ে জমি, ডেবা, ভরাট করা হচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, মাটিগুলো রাতের আঁধারে ফেলা হয়।

এ ব্যাপারে ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সায়েদুল আরেফিন বলেন, মুসাফির এগ্রোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক নামে জনৈক সাজ্জাদ হোসেন গত বছরের জুন মাসে পতিত জমিতে একটি পুকুর খননের আবেদন করে। সেটি এখনো তদন্তাধীন। আমরা কাউকে পাহাড় টিলা কেটে মাটি বিক্রির অনুমতি দিইনি।

তিনি আরো বলেন, বন, পরিবেশ ও মাটি কাটা আইনে পাহাড় বা টিলা কাটা ফৌজধারী অপরাধ। সংশ্লিষ্ট ভূমি কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য।

এএস/কেএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!