পিবিআইয়ের ওপর আস্থা নেই বাবুলের, চান না সন্তোষ চাকমাকেও

মাহমুদা খানম মিতু হত্যামামলা

সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ওপর অনাস্থা প্রকাশ করে তার স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যামামলার অধিকতর তদন্তের দায়িত্ব অন্য কোনও সংস্থাকে দিতে আবেদন জানিয়েছেন। এর পাশাপাশি মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা বদলানোর আবেদনও করা হয়েছে।

রোববার (১৪ নভেম্বর) চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম মেহনাজ রহমানের আদালতে এই আবেদন করেন বাবুল আক্তারের আইনজীবী শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী।

তিনি জানান, পিবিআইয়ের বদলে মামলাটি সিআইডি বা র‌্যাব বা অন্য কোনো সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত করানোর জন্য আবেদন করা হয়েছে।

আবেদনের পর আদালত ১২ ডিসেম্বর শুনানির সময় নির্ধারণ করেছেন।

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় সড়কে খুন হন বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। এ সময় গুলির পাশাপাশি তাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়।

ওই হত্যাকাণ্ডের সময় পদোন্নতি পেয়ে পুলিশ সদরদপ্তরে যোগ দিতে বাবুল আক্তার ঢাকায় অবস্থান করছিলেন। পরে তিনি নগরীর পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন।

শুরু থেকে চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশ মামলাটির তদন্ত করে। তারা প্রায় তিন বছর তদন্ত করেও অভিযোগপত্র দিতে ব্যর্থ হয়। পরে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে আদালত মামলাটির তদন্তের ভার পিবিআইকে দেয়। ওই মামলা তদন্ত করতে গিয়ে স্ত্রীর হত্যাকাণ্ডে বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততা পায় পিবিআই।

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) গত ১১ মে ৫৭৫ পৃষ্ঠার চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয়। ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়, বাবুল আক্তারের পরিকল্পনায় মিতু হত্যার ঘটনা ঘটে। তাকে হত্যার জন্য তিন লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে কন্ট্রাক্ট কিলারদের সঙ্গে।

চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার দিনই মিতুর বাবা মোশারফ হোসেন নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যামামলা দায়ের করেন। পরে ওই মামলায় ওই দিনই বাবুল আক্তারকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

এদিকে গত ১৪ অক্টোবর পিবিআইয়ের জমা দেওয়া প্রতিবেদনের ওপর নারাজি আবেদন করেন বাবুল আক্তারের আইনজীবী। পরে আদালত প্রতিবেদনটি না নিয়ে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন।

এরপর ১০ নভেম্বর অধিকতর তদন্ত শুরুর জন্য মামলার নথিপত্র আদালতের হেফাজত থেকে নিজের হেফাজতে নিতে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই চট্টগ্রাম মহানগরের পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!