পাহাড় ধসে প্রাণহানি কমাতে উপজেলা প্রশাসনের উদ্বুদ্ধকরণ প্রচারণা

কাপ্তাইয়ের ঢাকাইয়া কলোনি, লক গেট, শিল্প এলাকা, মুরগির টিলা, মুরালীপাড়া, কুকিমারা রাইখালীর নারানগিরি, চন্দ্রঘোনার বারঘোনিয়াসহ ৫ ইউনিয়নের বিভিন্নস্থানে পাহাড়ের ঢালে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় বসবাস করছে প্রায় পাঁচ শতাধিক পরিবার। গত তিন বছরে পাহাড় ধসে এসব ঝুঁকিপূর্ণ পরিবারের ১৮ জন সদস্য নিহত হয়েছেন।

এদিকে বর্ষার আগাম প্রস্তুতি হিসেবে সম্প্রতি প্রশাসন এসব ঝুঁকিপূর্ণ পরিবারসমূহকে আশ্রয়কেন্দ্রে আসার বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করতে দেখা গেছে।

কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশ্রাফ আহমেদ রাসেল বলছেন, পাহাড় ধসের কবলে পড়লে যে শুধু আপনার ক্ষতি ও প্রাণহানি হবে তা নয়। পাশাপাশি আপনার পরিবারে নেমে আসবে হতাশা। সমাজেও এক ধরণের অস্থিরতার সৃষ্টি হবে। তাই এই বর্ষার সময়ে পূর্বের ন্যায় আর বাড়িতে বসে থাকলে হবে না। সকলকে আগে ভাগে আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান নিতে হবে। আশ্রয় নেওয়া পরিবারসমূহের পর্যাপ্ত খাবার ও থাকার ব্যবস্থার কথাও জানান তিনি। অন্যদিকে যদি কোন ঝুঁকিপূর্ণ পরিবার আশ্রয়কেন্দ্রে না যান তাহলে তার বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

এদিকে কাপ্তাইয়ে বর্ষার সময়ে ৫ ইউপি কার্যালয়, বিভিন্ন প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে অস্থায়ীভাবে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে কাপ্তাই উচ্চ বিদ্যালয় এবং চন্দ্রঘোনা ইউপি কার্যালয়ে বেশি মানুষকে আশ্রয় নিতে দেখা গেছে। এসময় সরকারিভাবে বিভিন্ন সাহায্য-সহযোগীতা পাওয়ার পাশাপাশিও এগিয়ে আসতে দেখা গেছে বিভিন্ন সংস্থা এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকালে কাপ্তাইয়ের নতুনবাজার, লক গেট ও ঢাকাইয়া কলোনিতে গিয়ে দেখা যায় কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশ্রাফ আহমেদ রাসেল বর্ষার সময় পাহাড় ধসে প্রাণহানি রোধে সকলের নিরাপত্তার স্বার্থে নিকটস্থ আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে উদ্বুদ্ধ করছেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন কাপ্তাই থানা পুলিশ পরিদর্শক নূরুল আলম, কাপ্তাই ইউপি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আব্দুর লতিফসহ আরও অনেকে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!