পাহাড় থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের জোরালো দাবি

পাহাড় থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের জোরালো দাবি 1রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি : রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় পাহাড় থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারসহ সন্ত্রাসীদের কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার জোরালো দাবি তোলা হয়েছে। সোমবার সকাল ১১টায় শহরের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ইন্সটিটিউট প্রাঙ্গনে জাতীয় পতাকা উত্তোলণ ও পায়রা উড়িয়ে জেলা আওয়ামী লীগের দিনব্যাপী বর্ধিত সভার উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ এমপি। এ সময় দলীয় পতাকা উত্তোলণ করেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপঙ্কর তালুকদার। পরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে প্রথম অধিবেশন দিয়ে শুরু হয় বর্ধিত সভা।
পরে দীপঙ্কর তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি মাহবুবুল আলম হানিফ ছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, উপ-দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–য়া। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মুছা মাতব্বর। প্রথম অধিবেশনের শুরুতে সর্বশেষ গত বর্ধিত সভার পর এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণকারী জেলা, উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড আওয়ামী নেতাকর্মীদের তালিকা প্রকাশ এবং শোক প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে। বর্ধিত সভায় জাতীয় সংসদের রাঙ্গামাটির সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা, সাবেক চেয়ারম্যান চিংকিউ রোয়াজা, নিখিল কুমার চাকমাসহ জেলা এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা যোগ দেন।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পাহাড়ে আঞ্চলিক সংগঠনগুলোর প্রতি সমস্যা থাকলে অবৈধ অস্ত্র ছেড়ে আলোচনায় বসার আহবান জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সংসদ সদস্য মাহবুবুল হানিফ। তবে নির্দিষ্ট কোনো সংগঠনের নাম উল্লেখ করেননি তিনি।
পাহাড় থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের জোরালো দাবি 2তিনি বলেছেন, পাহাড়ে আবার অস্ত্রের ঝনঝনানি শুরু হয়েছে, তা আমাদের গোচরে এসেছে। এখানে নতুন করে অশান্তির পায়তারা চালাচ্ছে অবৈধ অস্ত্রধারীরা। তারা আওয়ামী লীগের বিশেষ করে পাহাড়ি নেতাকর্মীদের মাঝে অস্ত্রের হুমকিতে আতঙ্কের সৃষ্টি করছে। এতে আমি ব্যথিত। কারণ আমরা বরাবরই শান্তি চাই।
হানিফ বলেন, বাংলাদেশে কোথাও কোনো সন্ত্রাসী বা জঙ্গিগোষ্ঠীর ঠাঁই নেই। পার্বত্য চট্টগ্রামে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার পার্বত্য শান্তিচুক্তি সম্পাদন করেছে। কিন্তু যারা চুক্তি করেছে তারা আবার অবৈধ অস্ত্র হাতে নিয়ে ভুল পথে চলছেন। তারা পাহাড়ে অশান্তির সৃষ্টি করছে। এটা কখনও সুখকর নয়, যা কখনও মেনে নেয়া যাবে না। কারও কোনো সমস্যা থাকলে অবৈধ অস্ত্র ছেড়ে আলোচনার টেবিলে আসুন। সরকারের দরজা খোলা। অতএব অস্ত্রের ভাষা ব্যবহার করবেন না। অস্ত্রের ভাষা কখনও সমস্যা সমাধানের পথ হতে পারে না। কেবল আলোচনার মাধ্যমে সম্ভব সব সমস্যার সমাধান। আর কেউ অবৈধ অস্ত্র হাতে নিলে সন্ত্রাসী হিসেবে বিবেচিত হবেন। সরকার সন্ত্রাস দমনের জন্য কঠোর।
পাহাড়ে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের রাজনীতিতে বাধা দেয়া হচ্ছে উল্লেখ করে অবৈধ অস্ত্রধারীদের উদ্দেশে মাহবুবুল হানিফ বলেন, ভুল পথে চলবেন না। এরপরও যদি পাহাড়ে বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনায় কোনো আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর সমস্যা করা হয় তাহলে কীভাবে মোকাবেলা করতে হয় তা দেখা যাবে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!