পাহাড় কেটে ২৫ লাখ জরিমানা গুণলো ম্যাক্স গ্রুপের ৫ ঠিকাদার

সীতাকুণ্ডের ৫ শিপইয়ার্ডকে দিতে হবে ক্ষতিপূরণ

কক্সবাজারের রামু, উখিয়া ও সদরে সবুজ পাহাড় নিশ্চিহ্ন করে চলছে দখলবাজি ও মাটি বেচাকেনার বাণিজ্য। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স গ্রুপের নিয়োজিত উপ-ঠিকাদাররাই পাহাড় নিধনের সঙ্গে সরাসরি জড়িত বলে প্রমাণ পেয়েছে পরিবেশ অধিদফতর।

পাহাড় নিধন করে পরিবেশ ধ্বংসের এমন করুণ অবস্থা দেখে ঢাকার মহাখালীভিত্তিক ম্যাক্স গ্রুপের (সিসিইসিসি-ম্যাক্স জেভি কোম্পানি) নিয়োগ করা পাঁচটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে পাহাড় কাটার দায়ে ২৫ লাখ টাকা জরিমানা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। ম্যাক্স গ্রুপের নিয়োজিত এই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো হল কক্সবাজার রামু বাইপাসের আদিব ব্রাদার্স, কক্সবাজার সদর ঈদগা বাজারের বিসমিল্লাহ এন্টারপ্রাইজ, কক্সবাজারের বাংলাবাজার এলাকার রিতাজ এন্টারপ্রাইজ, ঢাকার কাকরাইলের সিস স্টুডিও এবং গুলশান নিকেতন ই-ব্লকের দি খান ট্রেডিং।

বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসাইন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়। ওই পাঁচ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ছাড়াও পাহাড় কাটা, পরিবেশের ছাড়পত্র নবায়ন না করা ও ছাড়পত্রের শর্ত ভঙ্গ করায় ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১১টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে মোট ৩২ লাখ ৭২ হাজার ১৫০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ এর ধারা ৭-এর আলোকে এই ক্ষতিপূরণ আরোপ করা হয় বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

পাহাড় নিধনের দায়ে এছাড়া কক্সবাজার পৌরসভার শামীম আহমেদ ৬০ হাজার টাকা, কক্সবাজারের উখিয়ার হেলাল উদ্দিন ও কাওসারকে ২ লাখ টাকা, কক্সবাজারের রামুর আবদুল মালেক মেম্বারকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এদিকে পরিবেশের ছাড়পত্র নবায়ন না করা ও ছাড়পত্রের শর্ত ভঙ্গ করায় চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের শিপইয়ার্ড আরেফিন এন্টারপ্রাইজ ও এসএইচ এন্টারপ্রাইজকে ১৫ হাজার টাকা করে এবং সীতাকুণ্ডের শিপইয়ার্ড কিং স্টিল, এন বি স্টিল ও কে আর স্টিলকে ১০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ আরোপ করা হয়। এছাড়া একই অভিযোগে বান্দরবান সদরের দলিলুর রহমান ও চন্দন বড়ুয়া গংকেও ৩ লাখ ৮২ হাজার ১৫০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তর জানিয়েছে, পাহাড় কাটতে কাউকে অনুমতি দেওয়া হয়নি এবং দেওয়ার প্রশ্নই আসে না। যারা পাহাড় কাটছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিশেষ করে ম্যাক্স কোম্পানির বিরুদ্ধে এর আগেও মন্ত্রণালয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাঠানো হয়েছে।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!