পাহাড়ে মুখী কচুর বাম্পার ফলন

ইলিয়াছ রিপন, মিরসরাই প্রতিনিধি :

চলতি বছর মিরসরাইয়ের পাহাড়ে মুখী কচুর বাম্পার ফলন হয়েছে। উপযুক্ত দাম পাওয়ায় কৃষকরাও খুশি। এখানকার উৎপাদিত কচু এলাকার চাহিদা মিটিয়ে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। মিরসরাই কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবার উপজেলায় প্রায় ৩৮ একর জমিতে মুখী কচুর চাষ করেছে কৃষকরা। গত বছরের তুলনায় এবার ৮ একর জমিতে বেশি চাষ হয়েছে।

mirsarai-kacu-photo-2
জানা গেছে, উপজেলার সমতল জমিতে কচু চাষ হলেও বেশি চাষ হয়েছে পাহাড়ি এলাকায়। পাহাড়ের মাটি চাষের জন্য ভালো উপযোগী হওয়াতে এখানকার কৃষকরা এই মৌসুমে মুখী কচু চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে।
উপজেলার ১ নম্বর করেরহাট ইউনিয়নের কয়লা বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, কৃষকদের কাছ থেকে পাইকারী ক্রেতা কামাল উদ্দিন প্রায় ৪০ বস্তা কচু ক্রয় করেছেন। প্রতি মন কচু কৃষকদের থেকে ক্রয় করেছেন ১ হাজার টাকা ধরে।

 

এখান থেকে মিরসরাই-সীতাকুন্ড, ছাগলনাইয়া, রামগড় ও ফটিকছড়ি উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে ট্রাক যোগে ঢাকা, চট্টগ্রাম, গাজীপুর, কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়। তিনি ছাড়াও ওই বাজার থেকে পাইকারী কচু ক্রয় করে আবু জাফর, মোহাম্মদ মিল্লাত, শাহজাহান সহ প্রায় ২০জন ব্যবসায়ী।

 

কয়লা বাজার ছাড়াও প্রতিদিন সন্ধ্যায় ভাঙ্গা টাওয়ার, বালুটিলা, গুলছড়ি হেঁয়াকো বাজারে কচুর হাট বসে। এছাড়া উপজেলার হিঙ্গুলী, জোরারগঞ্জ, দুর্গাপুর, মিরসরাই সদর, খৈয়াছড়া, ওয়াহেদপুর ও সাহেরখালী এলাকায় মুখী কচুর চাষ করা হয়েছে। কৃষকরা ২০ টাকা ধরে কচু পাইকারীভাবে বিক্রি করলেও সাধারণ ক্রেতা খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ৩০ টাকা ধরে বিক্রি করেন।

 

করেরহাট ইউনিয়নের পাহাড়ি এলাকার মধ্যে উল্টা টিলা, গুজরা, পানিছড়ি বল্টুরাম, কালাপানিয়া এলাকার কৃষকরা এই মৌসুমে মুখী কচু চাষ করে থাকেন। কথা হয় কচুচাষী মামুন, সাদ্দাম, জাফর ও বক্করের সাথে। তারা বলেন, আমরা প্রতি বছর এই মৌসুমে পাহাড়ে কচু চাষ করে থাকি। কচু উৎপাদনে খরচ কম হওয়াতে দিন দিন চাষী বাড়ছে।

 

সাদ্দাম বলেন, আমি ৫৫ শতক জায়গায় কচু চাষ করেছি। ইতমধ্যে প্রায় ২৭ হাজার টাকার কচু বিক্রি করেছি। আরো ২০-২৫ দিন বিক্রি করতে পারবো। আমার খরচ হয়েছে ১২ হাজার টাকা। কচু মৌসুম চলে গেলে অন্য সবজি চাষ করি।

 

করেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেন নয়ন বলেন, করেরহাটের পাহাড়ে কচু চাষ আগে থেকে বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে সরকারীভাবে পৃষ্ঠপোষকতা পেলে কচু চাষ আরো বাড়তো।
মিরসরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বুলবুল আহমেদ বলেন, চাষীদের কৃষি অফিস থেকে নিয়মিত সহযোগীতা করা হচ্ছে। তাই ক্রমান্বয়ে উপজেলাজুড়ে অন্যান্য সবজি চাষের পাশাপাশি কচু চাষ বাড়ছে। পাহাড়ি মাটি চাষের উপযোগী হওয়াতে ফলনও বেশি হচ্ছে।

 

এ এস / জি এম এম / রাজীব প্রিন্স :::

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!