পাহাড়ি তিন জেলায় যেতে মানা স্বাস্থ্য অধিদফতরের

বান্দরবান, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি মিলিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলায় বেড়াতে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়া রোগের বিস্তার হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় এই পরামর্শ এলো।

বুধবার (১৪ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতর আয়োজিত ভার্চুয়াল বুলেটিনে এ পরামর্শ দেন প্রতিষ্ঠানটির অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার লাইন ডাইরেক্টর ও মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. মো. রোবেদ আমিন। তিনি বলেন, ডেঙ্গু রোগী করোনায় আক্রান্ত হলে তাদের শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে।

ডা. রোবেদ আমিন বলেন, ‘আমরা দেখেছি যখনই বিধি-নিষেধ শিথিল করা হয় তখন মানুষ বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও কক্সবাজারে ভ্রমণে যান। এগুলো ম্যালেরিয়াপ্রবণ এলাকা। বৃষ্টি ও বৃষ্টি পরবর্তী সময়ে এসব জায়গায় ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি থাকবে। তাই আমাদের অনুরোধ থাকবে, ভ্রমণের চিন্তা করলে এই জায়গাগুলো বাদ দিলে ভালো হবে।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ ম্যালেরিয়ার সংক্রমণ বান্দরবান, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িতে হয়ে থাকে। এ বছরের মে ও জুন মাসে এক হাজার ৫৮৫ জন রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে এক হাজার ২১৫ জন বান্দরবানের বাসিন্দা, রাঙামাটির ২৩৬ জন ও ৩৭ জনের বাড়ি খাগড়াছড়িতে। এক হাজার ৫৮৫ জনের মধ্যে পাঁচ জন ম্যালেরিয়ায় মারা গেছেন।’

ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েছে জানিয়ে ডা. রোবেদ আমিন বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ৪৮ জন রোগী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। শুধু জুলাই মাসেই ৪৭৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন। জুন মাসে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ছিল ৭১ জন। ঢাকায় আক্রান্ত রোগী সংখ্যা তুলনামূলক বেশি।’

তিনি বলেন, ‘ঢাকার বাইরেও ধীরে ধীরে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বর্তমানে ঢাকার বাইরে রোগীর সংখ্যা ৩২ জন। জানুয়ারি থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত প্রায় ৮১২ জন রোগী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবাইকে সচেতন হতে হবে। মশারি ব্যবহার করতে হবে। জমে থাকা পানি পরিষ্কার করে ফেলতে হবে।’

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!