পাহাড়ি ঢলে কক্সবাজার বান্দরবানের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

পাহাড়ি ঢলে কক্সবাজার বান্দরবানের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত 1মুকুল কান্তি দাশ,চকরিয়া : দুই দিনের টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে কক্সবাজারের চকরিয়া-পেকুয়া ও বান্দরবানের লামা-আলিকদমের নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। চার উপজেলার অন্তত অর্ধশত গ্রামের দুই লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। লামা-আলিকদম সড়কের দুটি অংশের উপর দিয়ে ঢলের পানি প্রবাহিত হওয়ায় সরাসরি যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। চকরিয়ার অভ্যন্তরীণ বেশকয়েকটি গ্রামীণ সড়ক পানির নিচে তলিয়ে গেছে। সন্ধ্যা ৬টায় এ রিপোর্ট লেখার সময় মাতামুহুরী নদীর চিরিঙ্গা পয়েন্টে ঢলের পানি বিপদ সীমার ৮৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। বাড়ছিল প্লাবন।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, রবিবার ও সোমবারের টানা বৃষ্টিতে উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানি মাতামুহুরী নদীর দু’কূল উপচিয়ে বসতি এলাকায় প্রবেশ করছিল। গতকাল সেমাবার দুপুর থেকেই ঢলের পানি বাড়তে থাকে চকরিয়া-পেকুয়ায়।
এদিন সকালে পার্বত্য উপজেলা লামা-আলিকদমের নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়। পাহাড়ি ঢলে লামার বাস টার্মিনালসহ আশপাশ এলাকায় পানি উঠে। লামা-আলিকদম সড়কের দুটি অংশের উপর দিয়ে ঢলের পানি প্রবাহিত হয়। প্রথমে ঝুঁকি নিয়ে গণপরিবহণ চললেও পরে যান চালাচল বন্ধ হয়ে পড়ে।
চকরিয়ার সুরাজপুর-মানিকপুর, কাকারা, লক্ষ্যারচর, বরইতলী, হারবাং, কৈয়ারবিল, পৌরসভার একাংশ, সাহারবিল ও পেকুয়ার মগনামা, উজানটিয়ার বেশিরভাগ গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। নিচু এলাকার কয়েকশত বসতঘরে বিকালে পানি প্রবেশ করায় জনদুর্ভোগ বেড়েছে বলে সংশ্লিষ্ট এলাকার জনপ্রতিনিধিরা জানায়।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাহেদুল ইসলাম বলেন, প্রত্যেক ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে পানি অধিক বাড়লে সংশ্লিষ্ট গ্রামের লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে। সরকারী অফিসারদের বিভিন্ন ইউনিয়নের খোঁজখবর নিতে বলা হয়েছে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!