পাহাড়তলীর বধ্যভূমি নিয়ে চট্টগ্রামের ডিসিসহ দুজনকে নোটিশ

সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশনা থাকার পরও চট্টগ্রামের পাহাড়তলীর বধ্যভূমি সংরক্ষণের ব্যবস্থা না নেওয়ায় চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ রেজিস্ট্রি ডাকযোগে এ নোটিশ পাঠিয়েছেন।

ওই নোটিশে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে আপিল বিভাগের নির্দেশনা অনুসারে পাহাড়তলি বধ্যভুমির জন্য জমি অধিগ্রহণের কার্যক্রম শুরু করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। তা না হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

চট্টগ্রামের পাহাড়তলীর বধ্যভূমি সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে ২০১৪ সালে রায় দেন আপিল বিভাগ। তৎকালীন আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের বেঞ্চ এ রায় দেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, চট্টগ্রামের পাহাড়তলীর বধ্যভূমি সংরক্ষণের জন্য প্রজন্ম-৭১’র এক আবেদনে ১৯৯৮ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ওই বধ্যভূমি সংরক্ষণের নির্দেশ দেন। এরপর ১ দশমিক ৭৫ একর জমি অধিগ্রহণ করে প্রকল্প বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত হয় এবং প্রাথমিকভাবে ৯৪ লাখ টাকাও বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু ২০০৫ সালে তৎকালীন সরকার (বিএনপি-জামায়াত) ওই প্রকল্প বাতিল করে টাকা ফেরতের সিদ্ধান্ত নেন। ওই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল, ড. গাজী সালেহ উদ্দিন, মুনতাসির মামুন, মিলি রহমানসহ ৮ জন বিশিষ্ট নাগরিক হাইকোর্টে একটি রিট করেন।

ওই রিটের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে ২০১১ সালের ১৬ জানুয়ারি হাইকোর্ট কিছু পর্যবেক্ষণ দিয়ে তা নিষ্পত্তি করে দেন। হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল আবেদন করেন রিটকারীরা। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ সরকারকে এক সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন।

পরে সাবেক সেনাপ্রধান কে এম সফিউল্লাহকে নিয়ে এক সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি বধ্যভূমি চিহ্নিত করে তা সংরক্ষণের সুপারিশ করেন এবং তা আইনি প্রক্রিয়া অনুসারে আদালতে দাখিল করা হয়। ওই সুপারিশ আমলে নিয়ে আপিল বিভাগ আপিল মঞ্জুর করে রায় দেন।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!