৫ বছরে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন পাহাড়তলীর কাউন্সিলর জসিম

স্ত্রীর হাতেই আছে নগদ ৬০ লাখ, ১০ শতক জমি

৫ বছর আগে নগরীর ৯ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার আগে পেশায় রড-সিমেন্ট-হার্ডওয়ার সামগ্রী বিক্রেতা ও ঠিকাদার জহুরুল আলম জসিমের বার্ষিক আয় ছিল ৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা। আগের হলফনামা অনুসারে কাউন্সিলর হয়েছিলেন জমানো টাকা আর ঋণে। যোগ-বিয়োগে তিনি ছিলেন ৬০ লাখ টাকার ঋণী। কিন্তু মাত্র ৫ বছরেই তিনি গড়েছেন সম্পদের পাহাড়— নতুন হলফনামা সে কথাই বলছে।

৫ বছর আগে তার নগদ ছিল ৪ লাখ টাকা, ব্যাংকে জমা ছিল ৭ লাখ ৫১ হাজার ৫০০ টাকা। বিপরীতে ব্যাংক ঋণ ছিল ৭০ লাখ টাকা। তার বউয়ের ছিল ১০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার। সেই স্বর্ণালঙ্কার এখন ২০ ভরিতে উন্নীত হয়েছে।

ব্যবসা থেকে জসিমের আয় বছরে ১০ লাখ ৬০ হাজার ৬৩ টাকা, স্ত্রীর ৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা। শেয়ার বা সঞ্চয়পত্র স্বামী-স্ত্রীর প্রতি জনের ২০ লাখ করে ৪০ লাখ টাকা। তিনি প্রতি বছর কাউন্সিলর সম্মানী ভাতা পান ৪ লাখ ২০ হাজার।

৫ বছর আগে যে স্ত্রী ছিলেন কপর্দকশূন্য, সেই স্ত্রী এখন নগদে ৬০ লাখ টাকার মালিক। ব্যাংকে আছে তার ৩ লাখ ১৯ হাজার ৮১৭ টাকা। অন্যদিকে জসিমের হাতে নগদ আছে ৯ লাখ টাকা, ব্যাংকে আছে ১ লাখ ৭ হাজার ৬৮৩ টাকা।

জসিমের বাসায় আসবাবপত্র ও ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী আছে ৭০ হাজার টাকার। তার নিজের ২০ হাজার টাকার অলঙ্কারের পাশাপাশি আছে পয়েন্ট ১২ বোরের একটি শটগান।

আগের হলফনামায় তার ৬২ শত কৃষিজমি থাকলেও তা বিলুপ্ত হয়েছে গত ৫ বছরে। তবে অকৃষি ১২ শতক জায়গার সাথে ১০১ দশমিক ২৫ শতক যুক্ত হয়ে এখন জসিমের অকৃষি জমির পরিমাণ ১১২ দশমিক দুই পাঁচ শতক। স্ত্রীর নামেও আছে ১০ শতক জমি।

জসিম মালিক হয়েছেন ৬ তলা বিশিষ্ট বাড়ির। তবে বাড়ির বিস্তারিত তিনি গোপন করেছেন হলফনামা থেকে।

সবকিছু ঢাকতে তিনি ২ কোটি ৩৮ লাখ ৮৪ হাজার ৯২৩ টাকার ব্যাংক লোনের পাশাপাশি ১০ লাখ টাকার একটি হ্যান্ড লোন প্রদর্শন করেছেন হলফনামায়।

১৭টি ফৌজদারি মামলার আসামি জহুরুল আলম জসিম ১৫টি মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন। এর মধ্যে একটি মামলা চলমান, আরেকটি মামলায় উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ আছে।

এফএম/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!