পাহাড়তলীর উচ্ছেদেও অধরা রেল জাকিরের অবৈধ স্থাপনা

পাহাড়তলীতে ৮শ ঘরবাড়ি উচ্ছেদ হয়েছে ঠিকই কিন্তু আঁচড়ও পড়েনি রেলওয়ের জাকির হোসেনের অবৈধ স্থাপনায়।

রেলওয়ের ৫ একর ভূমি উদ্ধার করা হলেও ভৌতিকভাবে বাদ গেলো প্রধান সহকারী জাকির হোসেনের এ/১-এ বাংলোর অবৈধ স্থাপনাগুলো।

সোমবার (৯ মার্চ) খুলশী থানাধীন পাহাড়তলী সেগুন বাগান এলাকা রেলওয়ে ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তার অধীনে এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

উচ্ছেদের আঁচড়ও লাগেনি সেগুন বাগানে অবস্থিত ডিসিও প্রধান সহকারী জাকির হাসানের স্থাপনায়। উচ্ছেদের সত্যতা নিশ্চিত করেন আরএনবি ওসি রেজয়ানুর রহমান।

সকাল থেকে রেলওয়ে পূর্ব পাহাড়তলী সেগুন বাগান এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে রেল কর্তৃপক্ষ।

সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত পরিচালিত এ অভিযানে প্রায় ৫ একর জায়গা উদ্ধার করা হয়। এ সময় ৮শত কাঁচা ও আধাপাকা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেন পাহাড়তলী বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা মাহবুবউল করিম।

জানা যায়, সেগুন বাগান এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হলেও প্রায় ২ একর জায়গা দখল করে বস্তি ও গ্যারেজ নির্মাণ করা (ডিসিও পাহাড়তলী অফিস) প্রধান সহায়ক জাকির হাসানের অবৈধ স্থাপনায় আঁচড়ও লাগেনি উচ্ছেদের।

এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘পর্যায়ক্রমে এ/১-এ এবং এ/৪ বাসার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।’

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক রেল কর্মকর্তা চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘বিভাগীয় কর্মকর্তা (ডিআরএম) সাদেকুর রহমানের কারণে আলোচিত জাকির হাসানের অবৈধ স্থাপনা রক্ষা পায়।’

রেলওয়ে বিভাগীয় কর্মকর্তা (ডিআরএম) সাদেকুর রহমানের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘উচ্ছেদ কার্যক্রমের সর্বেসর্বা হলেন বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা। সেখানে আমার সম্পৃক্ততা নেই।’

এদিকে উচ্ছেদ অভিযানে স্বজনপ্রীতির কারণে শীঘ্রই ডিআরএম ও বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তার কার্যালয় ঘেরাও করতে পারে আশংকা প্রকাশ করছেন রেল সংশ্লিষ্ট অনেকে।

উল্লেখ্য, ডিসিও পাহাড়তলী প্রধান সহকারী জাকির হাসানের অবৈধ কর্মকাণ্ড ও অবৈধ স্থাপনা শীর্ষক চট্টগ্রাম প্রতিদিনের প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে ও অদ্যবধি তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি রেল কর্তৃপক্ষ।

এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!