পাহাড়তলীতে পাহাড় কেটে মামলা খেলেন কাউন্সিলর জসিম

পাহাড় কেটে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগে চট্টগ্রামের উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জহুরুল আলম জসিমের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর।

চট্টগ্রাম নগরীর আকবরশাহ থানার উত্তর পাহাড়তলীর লেকসিটি আবাসিক এলাকা সংলগ্ন পাহাড় অবৈধভাবে কেটে স্থাপনা নির্মাণের দায়ে কাউন্সিলর জসিম (৫৩) ও তার স্ত্রীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বুধবার (১০ আগস্ট) পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ের পরিদর্শক মো. সাখাওয়াত হোসাইন বাদী হয়ে আকবরশাহ থানায় মামলাটি করেন। মামলার অপর আসামিরা হলেন—জহুরুল আলম জসিমের স্ত্রী তাছলিমা বেগম (৩৯) ও কেয়ারটেকার মোহাম্মদ হৃদয় (২৬)।

বিষয়টি নিশ্চিত করে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগরের উপ-পরিচালক মিয়া মাহমুদুল হক বলেন, ‘নগরীর আকবরশাহ থানার উত্তর পাহাড়তলী মৌজার লেকসিটি আবাসিক এলাকা সংলগ্ন স্পটে অনুমোদন ছাড়া পাহাড় কেটে স্থাপনা নির্মাণের দায়ে তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘গত ৮ আগস্ট পরিবেশ অধিদপ্তরের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শনে দেখতে পান, লেকসিটি আবাসিক এলাকা সংলগ্ন ছড়ার কাছে টিলাশ্রেণির জমির আনুমানিক ৩ শতাংশ অংশের ছোট-বড় গাছ ও ঝোপঝাড় কেটে টিলা সমান করা হয়েছে। এছাড়া পাহাড় কেটে একটি টিনশেড সেমিপাকা ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। ঘরসহ কাটা পাহাড়ের পরিমাণ আনুমানিক ৩ হাজার ঘনফুট। এছাড়া ১ হাজার ৩০৬ দশমিক ৮ বর্গফুট পাহাড় মোচন করা হয়েছে। সেখানে কাটা গাছের গুঁড়ি দেখতে পাওয়া গেছে।’

ঘটনার সত্যতা পাওয়ার পর বুধবার (১০ আগস্ট) শুনানিতে হাজির হওয়ার জন্য নোটিশ দেয় পরিবেশ অধিদপ্তর। শুনানিতে কেয়ারটেকার মোহাম্মদ হৃদয় জানান, কেটে ফেলা ভূমির মালিক তিনি নন। ভূমির প্রকৃত মালিক জহুরুল আলম জসিম ও তার স্ত্রী তাছলিমা বেগম। তিনি এর সপক্ষে জমির মালিকানা খতিয়ান দাখিল করেন।’

হৃদয় আরও বলেন, ‘লেকসিটি আবাসিক এলাকা সংলগ্ন ছড়ার কাছে টিলাশ্রেণির জমির আনুমানিক তিন শতাংশ অংশের ছোট-বড় সব গাছ ও ঝোপঝাড় কেটে টিলা মোচন করা হয়েছে। এছাড়া পাহাড় কেটে একটি টিনশেড সেমিপাকা স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে।’

তথ্যপ্রমাণ পেয়ে এবং শুনানিতে কেয়ারটেকার স্বীকারোক্তি দেওয়ার পর তিনজনকে আসামি করে আকবরশাহ থানায় মামলা করা হয়।

আইএমই/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!