পাহাড়তলীতে ধরা ভুয়া ডাক্তার, খবর পেয়ে পালালো আরেকজন

চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়তলী কালী বাড়ি এলাকায় জেলা প্রশাসনের অভিযানে এক ভুয়া ডাক্তারকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া এক ফার্মেসিকে সিলগালা ও আরও দুই ফার্মেসিকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) দুপর ১২টায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওমর ফারুকের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালিত হয়।

অভিযানে পাহাড়তলীর কালীবাড়ি রোডে সজীব মেডিকেল হল নামে ফার্মেসিতে সজীব দাশ রুপন (২৯) নামের একজন ভুয়া ডাক্তারকে হাতেনাতে ধরা হয়। জানা যায়, এসএসসি পাস সজীব দাশ দীর্ঘদিন ধরে ডাক্তার সেজে নিয়মিত রোগী দেখে আসছিলেন।

পাহাড়তলীর এক ফার্মেসিকে সিলগালা করে দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
পাহাড়তলীর এক ফার্মেসিকে সিলগালা করে দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

অভিযানকালে ম্যাজিস্ট্রেটকে তিনি কোনো গ্রহণযোগ্য সার্টফিকেট ও লাইসেন্স দেখাতে পারেননি। অভিযানে তাকে ড্রাগস আইন ১৯৪০ অনুযায়ী ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

জানা গেছে, অভিযানের খবর পেয়ে একই এলাকায় চন্দ্রিকা মেডিকেল হলের বিমল দাস নামের আরেক ভুয়া ডাক্তার পালিয়ে যান। বিমল দাস কয়েক বছর ধরে ডাক্তার সেজে প্রেসক্রিপশন দিয়ে ওষুধ বিক্রি করে আসছিলেন। অভিযানে চন্দ্রিমা মেডিকেলকে সিলগালা, মেডিকেল প্লাস ফার্মেসিকে ৩ হাজার টাকা ও স্বাগত ফার্মেসিকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

জেলা প্রশাসনের এ অভিযানে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আকিব হোসেন, ঔষধ তত্তাবধায়ক হোসাইন মোহাম্মদ ইমরান, কামরুল হাসান, পাহাড়তলী থানার এসআই তৌফিকুল ইসলাম সঙ্গে ছিলেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওমর ফারুক বলেন, মানুষের স্বাস্থ্যের ক্ষতিকারক ওষুধ বিক্রি ও ভুয়া ডাক্তার সেজে প্রতারণায় সজীব নামের একজনকে কারাদণ্ড সহ জরিমানা করা হয়েছে। জনস্বার্থে এই অভিযান চলমান থাকবে।

সিএম/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!