পাহাড়তলীতে তরুণী ধর্ষণের অভিযোগে ‘বিএনপি নেতা’ কারাগারে

তরুণী ধর্ষণ মামলায় কারাগারে গেলেন চট্টগ্রামের পাহাড়তলীর তৌফিকুল ইসলাম খান রুমান নামের এক ‘বিএনপি নেতা’।

বুধবার (৩০ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-৫ এর বিচারক ওসমান গনির আদালতে আত্মসর্মপণ করে জামিন চাইতে গেলে আদালত নামঞ্জুর করেন। পরে আসামি রুমানকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আসামি রুমান চট্টগ্রামের পাহাড়তলী থানার ইব্রাহিম খান কন্ট্রাক্টর রোডের ইসলাম খানের বাড়ির মো. ইসমাইলের ছেলে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তৌফিকুল ইসলাম খান রুমানের সঙ্গে পরিচয় হয় ওই তরুণীর। তরুণীর বাবা-মা চাকরি গেলে প্রায় তাদের বাসায় যাতায়াত করতেন রুমান। এরপর থেকে বিয়ে আশ্বাস দিয়ে তরুণীর সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করেন রুমান। এরপর বন্দর থানার আলী মাঝিরপাড়ার হোসেন চৌধুরী সাদ্দামের বিল্ডিংয়ে তরুণীকে ডেকে নিয়ে সেখানে শারীরিক সম্পর্ক করেন। সর্বশেষ ২০২১ সালের ১২ মার্চ জোর করে ওই তরুণীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন রুমান। এ ঘটনায় ২০২১ সালের ২৪ মার্চ চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন ওই তরুণী। পরে আদালতের মাধ্যমে মামলার তদন্তের জন্য নির্দেশ দেয়া হয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই)। ২০২১ সালের ১৩ নভেম্বর তরুণীর পক্ষে প্রতিবেদন দাখিল করে পিবিআই।

বাদির পক্ষের আইনজীবী রায়হাদ চৌধুরী রনি চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘আজ দুপুরে ধর্ষণ মামলার আসামি আত্মসমর্পণ করে জামিন নিতে আদালতে উপস্থিত হলে বিচারক বাদি ও বিবাদির শুনানি শেষে আসামির জামিন নামাঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।’

বিষয়টি নিশ্চিত করে ভুক্তভোগী ওই তরুণী চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘আসামি রুমান বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বারবার বিয়ে করার আশ্বাস দিয়ে আমার সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করে রুমান। তাকে রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে বিয়ে করতে বললে সে টালবাহানা করতো। সে পাহাড়তলী এলাকার বিএনপির বড় নেতা। প্রায় রাজনৈতিকভাবে ভয়ভীতি দেখাত আমাকে, আমি যাতে তার বিরুদ্ধে কোনো কিছু না করি। শুধু তাই নয়, আজকে আদালতপাড়ায়ও তার লোকজন নিয়ে আমাকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করে।’

এমএ/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!