পাহাড়তলীতে আবার তরুণী আটকে যৌনব্যবসার চক্র

চট্টগ্রামের পাহাড়তলীতে আবারও যৌনব্যবসার আরও একটি স্পটের খোঁজ মিলেছে। সেই স্পটে দুই তরুণীকে আটকে রেখে দিনের পর দিন যৌনব্যবসায় বাধ্য করা হচ্ছিল। জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে তাদের উদ্ধার করে পাহাড়তলী থানার পুলিশ।

শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে উদ্ধার করা ওই দুই তরুণীকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে পাহাড়তলী থানার প্রাণ হরিদাস রোডের বিবেকানন্দ নাথের তনয় বিতান নামের একটি ভবনের ফ্ল্যাটে আটকে রাখা হয়। এরপর থেকে তাদের দিয়ে যৌনব্যবসা চালিয়ে আসছিল একটি চক্র।

পুলিশের অভিযানে ওই চক্রটির তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর মধ্যে একজন নারী— তিনি চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার ইছাখালী গ্রামের মর্জিনা বেগম। অপর দুজন হলেন সন্দ্বীপ থানার বাউরিয়া গ্রামের মনির হোসেন ও লক্ষ্মীপুরের রামগতি থানার বড়খিরি গ্রামের রাশেদ উদ্দিন।

এ ঘটনায় পাহাড়তলী থানায় মামলা হয়েছে গ্রেপ্তার ওই তিনজনের বিরুদ্ধে। শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে নেওয়ার পর বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে গত ১১ জুলাই পাহাড়তলীরই এক ভাড়া বাসায় আটকে রেখে জোর করে যৌনব্যবসা চালানোর অভিযোগে শাহনাজ বেগম নামে এক নারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ সময় ওই বাসায় আটকে রাখা তিন তরুণীকে উদ্ধার করা হয়। পাহাড়তলী বাঁচা মিয়া রোডের একটি বাড়ির চতুর্থ তলার ফ্ল্যাট থেকে এ সময় গ্রেপ্তার শাহনাজ বেগম ফটিকছড়ির ভুজপুর থানার হেঁয়াকো বাজার মোহাম্মদপুরের জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী। প্রায় তিন মাস ধরে ওই বাসায় তরুণীদের আটকে রেখে যৌনব্যবসায় বাধ্য করছিলেন শাহনাজ বেগম ও তার স্বামী জাহাঙ্গীর আলম। ১০ জুলাই সেই বাসায় হঠাৎ চিৎকার শুনে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন দেন এক প্রতিবেশী। পরে পুলিশ গিয়ে তিন তরুণীকে উদ্ধার করে।

জিজ্ঞাসাবাদে শাহনাজ জানান, তার স্বামী জাহাঙ্গীর দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে কৌশলে মেয়েদের তাদের বাসায় নিয়ে আসে। পরে সে আর তার স্বামী মিলে তাদের জোরপূর্বক যৌনব্যবসায় বাধ্য করেন। তারা প্রায় তিন বছর ধরে এই কাজের সঙ্গে জড়িত এবং তারা কিছুদিন পরপর বাসা পরিবর্তন করে বিল্ডিংয়ের মালিক অথবা বিল্ডিংয়ের কেয়ারটেকারের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলে এই কাজ করে আসছিল।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!