পার্বত্য চট্টগ্রামের গেছো শামুকের কৃত্রিম প্রজননে বড় সাফল্য

পার্বত্য চট্টগ্রাম ও রাজশাহী থেকে সংগ্রহ করা গেছো শামুকের কৃত্রিম প্রজননে এসেছে বিরল সাফল্য। বিশ্বে ‘প্রকৃতির মুক্তা’খ্যাত গেছো শামুকের এটিই প্রথম কৃত্রিম প্রজনন। এর আগে সাধারণ শামুকের কৃত্রিম প্রজননে সফলতা পেয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই অঙ্গরাজ্যের গবেষক ডেভিসসিসকো।

এই অসাধ্য সাধন করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। তারা দাবি করছেন, বিশ্বে এই প্রথমবারের মতো গেছো শামুকের কৃত্রিম প্রজনন করতে সক্ষম হয়েছেন। এর ফলে বিলুপ্তির পথে থাকা এই শামুক সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

জানা গেছে, গবেষক ও গবেষণা সহকারী মাস্টার্সের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ হিল কাফি ও রুপময় তংচঙ্গা নামের দুই শিক্ষার্থী রাজশাহী ও পার্বত্য চট্টগ্রামের দুটি জায়গা থেকে দুটি গেছো শামুক সংগ্রহ করেন।

এই শামুকগুলোর আদি নিবাস আমেরিকার ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্য। এটি লিগ্যাস প্রজাতির হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এ বছরের মার্চে শামুকগুলো নিয়ে গবেষণা শুরু হয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহরিয়ার শোভনের হাত ধরে। এরপর গবেষণা শুরুর ৯ মাসের পরিশ্রমে এ সফলতা অর্জিত হল। এ গবেষণা কাজে সহযোগিতা করেন কয়েকজন জাপানি গবেষকও।

অধ্যাপক শাহরিয়ার শোভন বলেন, ‘এর আগে দেশি শামুকের বিষয়ে একটি সার্ভে করেছি। সেখানে দেখতে পেয়েছি, এই গেছো শামুক খুবই দুর্লভ প্রকৃতির। পার্বত্য চট্টগ্রাম ও উত্তরাঞ্চলের কিছু জায়গায় আছে। দুই বছর ধরে খুঁজছিলাম। তবে কোথাও পাওয়া যাচ্ছিল না। অনেক খুঁজে অবশেষে পেয়েছি। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে হারিয়ে যেতে বসেছে এই শামুকগুলো।’

গবেষক শোভন বলেন, ‘উদ্ভিদের গায়ে কিছু ক্ষতিকর অণুজীব লেগে থাকে। সেগুলো খেয়ে উদ্ভিদকে রক্ষা করে এই শামুক।’

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!